পার্বত্য চট্টগ্রামে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার -১০

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২২

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ;
পার্বত্য চট্রগ্রামের বান্দরবান ও রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস ও জঙ্গীবিরোধী অভিযানে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া’র ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র‍্যাব)। এছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তিন সদস্যকে।

অভিযানে এসব জঙ্গী সদস্যদের গ্রেফতার করা ছাড়াও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জঙ্গিবিরোধী যৌথবাহিনীর অভিযান শুরুর কারণে চট্টগ্রামের পার্বত্য কয়েকটি এলাকায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এসব এলাকার মধ্যে রয়েছে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রোমা উপজেলাসহ দুর্গম আরও কিছু পার্বত্য এলাকা।

র‍্যাব জানায়, সম্প্রতি দেশের ১৯ জেলা থেকে ৫৫ জন তরুণ জঙ্গিবাদে জড়াতে বাড়ি ছেড়েছে। তারা বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের অধীনে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। বাড়ি ছাড়া ১২ জনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যে এমনটা জানা গেছে।

বাড়িছাড়া তরুণদের গ্রেপ্তারে গত ১০ অক্টোবর থেকে দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাবসহ অন্য বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এর আগে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, যৌথবাহিনীর অভিযানের কারণে চট্টগ্রামের পার্বত্য দুর্গম এলাকাগুলোতে নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যটকদের যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘নিরুদ্দেশ হওয়া তরুণদের মধ্যে যে ১২ জনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছিলাম, তাদের তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা জানতে পারি অন্য তরুণরা পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সেখানে গত ১০ অক্টোবর থেকে অপারেশন চালানো হচ্ছে। অপারেশনে বেশ অগ্রগতি হয়েছে, আমরা বেশ কিছু দূর পর্যন্ত চলে এসেছি। আশা করছি দ্রুত সময়ে কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনতে পারব।’

যেহেতু বান্দরবানের জায়গাটা দুর্গম, ঝুঁকিপূর্ণ এবং পর্যটকরা ঘোরাফেরা করেন। এজন্য স্থানীয় প্রশাসন ওই এলাকায় পর্যটক যেতে নিষিদ্ধ করেছে বলেও জানান তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের যে তথ্য, তাতে দুর্গম অঞ্চলে স্থায়ী হতে সাপোর্ট লাগে। যে কেউ গিয়ে সেখানে স্থায়ী হতে পারবে না। এজন্যই বিচ্ছিন্নতবাদী কিছু সংগঠন নিরুদ্দেশ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, রসদ সাপ্লাই করা- এগুলো করছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। এই তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা সেখানে অভিযান চালাচ্ছি।