মহেশখালী প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের মহেশখালীতে তথ্য ভিত্তিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের জের ধরে জাতীয় দৈনিক খোলা কাগজের মহেশখালী প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক কাইছারুল ইসলামের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যেমূলক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহেশখালী উপজেলা প্রেসক্লাব।

এক বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, কাইছারুল ইসলাম একজন পেশাদার সাংবাদিক। দীর্ঘদিন মহেশখালী দ্বীপের মানুষের জন্য সঠিক সংবাদ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি দ্বীপের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে পাঠকের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরেন। যাতে পাঠক জানতে পারেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের রাষ্ট্রীয় চোখে অপরাধমূলক অনিয়মের কার্যক্রম। যার কারণে একটি পক্ষ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জেলার স্থানীয় ‘দৈনিক কক্সবাজার ৭১ ও দৈনিক আজকের কক্সবাজার’ পত্রিকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করান এবং কক্সবাজার ৭১ ও আজকের কক্সবাজার পত্রিকা যাচাই-বাছাই না করে এমন সংবাদ প্রকাশ করে অনুসন্ধানী সংবাদে বাঁধা সৃষ্টি করার কৌশলে মুখ দিয়ে অপরাধীদের উৎসাহিত করেছেন। এটি স্বাধীন মত প্রকাশেরও অন্তরায় এবং সাংবাদিক সমাজের জন্য লজ্জাজনক।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গত ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ‘শাপলাপুর জেএমঘাট আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভূয়া ল্যাব অপারেটর নিয়োগ, কর্তৃপক্ষকে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে তলব’ শিরোনাম,  ৮ এপ্রিল ‘ঘূর্ণিঝড় ত্রাণের টিন গোপনে বিক্রি করে দিলেন অধ্যক্ষ’ শিরোনাম ও ৮ ফেব্রুয়ারি ‘এমপিও ভুক্তিতে জালিয়াতি’ শিরোনাম এবং ২২ জানুয়ারি ‘লিটনের কারিশমায় ২০ বছর ধরে ক্লাস না করে বেতন নেন রাশেদ’ শিরোনামে দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকায় অনুসন্ধানী প্রকাশিত সংবাদগুলোকে কেন্দ্র করে এমন কার্যক্রম করে সিন্ডিকেটটি। ভবিষ্যতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ এবং সঠিক সংবাদ প্রকাশ করে দেশের মানুষের জন্য কাজ করার জন্য স্থানীয় কক্সবাজার ৭১ ও দৈনিক আজকের কক্সবাজার পত্রিকাকে আহবান জানানো হয়।

এ বিষয়ে সাংবাদিক কাইছারুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সহিত মহান সাংবাদিকতা পেশায় কাজ করে আসছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছি এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে অবদান রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দেশ ও দশের কল্যাণে অনেক বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ আমার লেখনিতে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, যা পাঠক দেখেছেন। সম্প্রতি মহেশখালীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনিয়ম গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি পাঠকের কাছে। যার জন্য আমাকে জড়িয়ে দুষ্কৃতিকারীরা কক্সবাজার স্থানীয় পত্রিকায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করেছেন। যা আমার দৃষ্টিগোচর হয়। প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একজন সাংবাদিকের মানহানি করার জন্য প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অতিশীঘ্রই আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।