বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু।

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২২

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ;
বুবধবার (১৯ এপ্রিল ২০২২) সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা একটি ধর্মীয় উগ্রবাদী সংগঠনের সন্দেহভাজন জঙ্গিদের ধরতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ির দুর্গম এলাকায় বিশেষ অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। অভিযানের কারনে মঙ্গলবার থেকে এসব এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফিরে আসতে বলা হয়েছে এসব অভিযান পরিচালনাকালীন এলাকাগুলো থেকে পর্যটকদের।

যৌথ বাহিনীর অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকবে বলে সাংবাদিকদের জানান বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।

রুমা ও রোয়াংছড়ির দুর্গম এলাকায় নতুন জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ার সদস্যরা গোপনে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

জামায়াতুল আনসার এবং এর পৃষ্ঠপোষক বিদ্রোহী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট সদস্যদের আইনের আওতায় আনাই এই বিশেষ অভিযানের উদ্দেশ্য বলে মঙ্গলবার বেনারকে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

যদিও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অভিযান শুরুর কথা জানিয়ে বলা হয়েছে এটি একটি ‘নিয়মিত’ অভিযান।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও রুমা ও রোয়াংছড়িতে চলমান অভিযানে অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান।

রুমা উপজেলার বাসিন্দা শৈহ্লাচিং মারমা মঙ্গলবার বেনারকে জানান, অভিযানের সুবিধার জন্য ওই অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কেওক্রাডং, বগা লেকসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানে পর্যটক চলাচল বন্ধ করে দেবার ফলে “এলাকাটি পর্যটকশূন্য হয়ে গেছে।”

মঙ্গলবার নিজের কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেনারকে জানান, জামায়াতুল আনসার জঙ্গিরা বান্দরবান জেলার বিভিন্ন স্থানে “গোপনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর আছে।”

তিনি বলেন, “জঙ্গিরা কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, এমন খবরও আছে। ওইসব এলাকা খুবই দুর্গম হলেও “আমরা সকল জঙ্গি, ও বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অপারেশন অব্যাহত রাখব, জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এদের ধরে ফেলব।

তবে এই অভিযান কতদিনে চলবে এবং কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে, সে ব্যাপারে মন্ত্রী বা অন্য কর্মকর্তারা কিছু জানাননি।