সীমান্তবাংলা ডেক্স : গণতন্ত্রের এক দশক না কাটতেই ফের সামরিক বাহিনীর হাতে বন্দি হয়েছেন রাষ্ট্রপ্রধান আং সান সু চি। এই পরিস্থতিতে দেশটিতে গণতন্ত্র রক্ষায় তৎপর হচ্ছে জাতিসংঘ। মিয়ানমার নিয়ে জাতিসংঘ মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনাকে গণতন্ত্রের উপর ‘বড় আঘাত’ বলে মন্তব্য করেছেন।
জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের দূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেন, গত নভেম্বর মাসে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলকে বৈধ হিসেবে গণ্য করা হবে। নেত্রী সু চি’র দ্রুত মুক্তির জন্য চেষ্টা করবে লন্ডন। জাতিসংঘের প্রতিনিধি স্টেফানি দুজারিক জানিয়েছেন, ফোন ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় রাজধানী নেপিদোতে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অভ্যুত্থানের ফলে রাখাইন প্রদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের জীবন আরও কঠিন হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২০০৮ সালে সামরিক নজরদারিতে যে সংবিধান তৈরি হয়েছে, সেখানে পার্লামেন্টে কোনও বড় আইন রুখে দেওয়ার মতো আসন সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকগুলিও সেনার হাতে রয়েছে। ফলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলেও, গণতান্ত্রিক শাসন এখনও প্রতিষ্ঠা হয়নি সে দেশে।
০২ফেব্রুয়ারি/ ইএস/এডমিন/ইবনে