সীমান্তবাংলা নিউজ ডেস্কঃ
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটির টেলিযোগাযোগসহ সবকটি গনমাধ্যম বন্ধ করে দেয়ার পর দেশটির সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ শহর ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং শহরটির আশেপাশের এলাকাগুলোর সাথে সড়ক যোগাযোগও বন্ধ করে দিয়েছে সেনাবাহিনী।
শহরের বিভিন্ন স্থানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা গেছে। রাস্তায় রাস্তায় চলছে সেনাটহল।
সেনা অভ্যুত্থানের খবরে আতঙ্কিত হয়ে মিয়ানমারের মানুষ দলে দলে টাকা তোলার জন্য এটিএম বুথের সামনে জড়ো হচ্ছেন। অনেক বুথের সামনে মানুষের দীর্ঘ সারি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ইন্টারনেট সংযোগ সচল না থাকার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি মানুষজন এটিএম বুথ থেকে টাকাও তুলতে পারছে না বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটির সেনাবাহিনী সেনাপ্রধান মিন অং লাইং এর কাছে ক্ষমতা হস্থান্তর করেছে বলে জানা গেছে।
ইয়াঙ্গনের বাসিন্দারা এরই মধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অনেকেই বাইরে বের হয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদীসহ শুকনো খাবার সংগ্রহ করতে শুরু শুরু করেছেন।
তবে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানাচ্ছেন যে দোকানে চাল এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিয়ে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা অনেকে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
ইয়াঙ্গনে বিবিসি বার্মিজ বিভাগের সংবাদদাতা নিয়েন চান আয়ে জানান, শহরটির আঞ্চলিক পার্লামেন্ট এবং আঞ্চলিক সরকারি অফিসগুলোর দখল নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। বেসামরিক কর্মকর্তাদের এসব দপ্তরে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমা এক সময় বার্মা নামেই পরিচিত ছিল।
দেশটির সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, স্টেট কাউন্সির অং সান সু চি এবং প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি দেশটির মন্ত্রীসভার প্রায় ২৯ জন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
( সীমান্তবাংলা/ শা ম/ ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১)