প্রেক্ষিতঃ আইনের শাসন, ডাব্লিউজেপি সূচক ও বাংলাদেশ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৩

 

বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫২ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘আইন’ অর্থ কোন আইন, অধ্যাদেশ, আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন, বিজ্ঞপ্তি ও অন্যান্য আইনগত দলিল এবং আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন যে কোন প্রথা বা রীতি। আবার ১১১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘আপীল বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত আইন হাইকোর্ট বিভাগের জন্য এবং সুপ্রীম কোর্টের যে কোন বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত আইন অধঃস্তন সকল আদালতের জন্য অবশ্য পালনীয় হইবে।’ অতএব ‘আইন’ বলতে অধ্যাদেশ, আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন, বিজ্ঞপ্তি ও অন্যান্য আইনগত দলিল এবং আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন যে কোন প্রথা বা রীতি এবং উচ্চ আদালতের রায়কে বোঝানো হয়। সুতরাং, মানুষকে সুষ্ঠু, স্বাধীন এবং সুশৃংখলভাবে পরিচালনার জন্য যে নিয়ম-কানুন তৈরি এবং প্রয়োগ করা হয় তাই আইন।
গণমানুষের অধিকারের সুরক্ষা, সমাজ-রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে গণমুখী আইন প্রণয়ন ও তার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার। কিন্তু আইন যখন সার্বজনীন না হয়ে বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির অনুষঙ্গ হয় তখন তা আইনী বৃত্তের বাইরে গিয়ে কালাকানুনে রূপ নেয়। বস্তুত কোন সমাজ-রাষ্ট্রে যখন আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকে তখন সে সমাজ-রাষ্ট্র অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং সে জাতির পতনও অবশ্যম্ভাবী হয়ে

বর্তমানে আমাদের সমাজ জীবন মারাত্মক অবক্ষয়ের চিত্র জীবন্ত হয়ে আছে। সমাজে আজ কোন আদর্শ নেই, নেই অনুপ্রাণিত করার মতো মহৎপ্রাণ আদর্শ মানুষ। ঘরে বাইরে সর্বত্রই মনুষ্যত্বের দীনতার চিত্র। একদিকে রাজনৈতিক দ্বন্ধ-কলহ, অন্যদিকে অর্থনৈতিক দূর্দশা, শিক্ষাখাতে নৈরাজ্য, সমাজ সেবার নামে নিজের স্বার্থ হাসিল এবং স্বেচ্ছাচারিতা ইত্যাদি কর্মকান্ডের ফলে সমাজ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। সমাজের সব স্থানে মাদক, ইয়াবা, শিশু পাচার, ধর্ষন, অপহরণ, এসিড নিক্ষেপ, হত্যা, খুন, রাহাজানি, সন্ত্রাস প্রভৃতি কারনে মুখ থুবড়ে পড়েছে আইনের শ্বাশত অমীয় বাণী। এক্ষেত্রে আইনের দুর্বল প্রয়োগ যেমন দায়ী ঠিক তেমনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও দায়ী। ফলে ভি আই পি অপরাধীরা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে যাচ্ছে রীতিমত। দূর্ণীতি, কমিশন বাণিজ্য, মহাপ্রকল্পের নামে মহা দূর্ণীতি, অর্থ পাচার, ঋনখেলাপী, রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক চাকাকে স্থবির করে দিয়ে হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার, সিন্ডিকেট বাণিজ্যের নামে দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতির খড়গ, ব্যাঙ্ক থেকে শত কোটি টাকা নিয়ে যারা লোপাট করছে/করেছে-আইন তাদেরকে কিছুই করতে পারছেনা। বস্তুত আইনের শাসনকে ভূলুন্ঠিত করে তুলেছে এক শ্রেণির ব্যক্তিবর্গ-যারা আমলাতন্ত্র ও রাজনীতিকে সু-কৌশলে ব্যবহার করে হীন স্বার্থে হেন কাজ নেই তার করতে পারে অর্থাৎ তারা একটি স্বার্থান্বেষী চক্র। এ প্রসঙ্গে জগত বিখ্যাত দার্শনিক প্লেটোর মতে, ‘When the prince is virtuous, law are unnecessary; when prince is not virtuous, law is useless.’ অর্থাৎ ‘শাসক যখন হবেন ন্যায়বান, তখন আইনের শাসন নিষ্প্রয়োজন। আবার যখন হবেন দুর্নীতিপরায়ণ তখন আইন হবে নিরর্থক’। কথাটি খুবই সরল কিন্তু এটির গভীরতা অনেকদুর গ্রথিত।

আইনের শাসন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা ও মানবাধিকারের জন্য যুগে যুগে দেশে দেশে অনেক রক্তপাত, ত্যাগ তিতিক্ষা, বাদ-প্রতিবাদ, আন্দোলন, সংগ্রাম করতে হয়েছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও প্রায় তিন লক্ষ মা বোনের ইজ্জত আব্রুর প্রতিদানের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম লাভ করে। বুক ভরা আশা ও হ্রদয়ের সর্বোচ্চ আকুতির এক মহা অর্জন আমাদের এই গর্বের স্বাধীনতা। দেশ স্বাধীনের পরে ১৯৭২ সালে নতুন সংবিধানের প্রস্তাবনা (Preamble)’য় ছিল “আমরা বাংলাদেশের জনগণ,১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করার ( জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের) মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্টা করিয়াছি।
আমরা (আরও) অঙ্গীকার করিতেছি যে, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মুল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্টা করা যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে”।

রাষ্ট্রের মৌলিক তিনটি বিভাগ-(Legislative, Judiciary & Executive) আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ/ শাসন বিভাগ। প্রত্যেক বিভাগের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে প্রত্যেকেটা বিভাগ নিজের স্বকীয় বৈশিষ্টের আলোকে স্বাধীন ও স্বকীয়ভাবে কাজ করার সুযোগ ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবার কথা। যেখানে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিদ্যমান সেখানে মানব অধিকার প্রতিষ্টার প্রশ্নে কোন আপোষ থাকার কথা নয়।

যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট বা ডব্লিউজেপির রুল অব ল ইনডেক্স-২০২১ অনুযায়ী বাংলাদেশে আইনের শাসনের অবনতি হয়েছে।
সংস্থাটির রুল অব ল ইনডেক্স বা আইনের শাসনের সূচকের ২০২১ সালের প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য মোতাবেক বিশ্বের ১৩৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৪তম যা দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশের মধ্যে চতুর্থ। এর আগে ২০২০ সালের মার্চে প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশ ১২৮টি দেশের মধ্যে ১২২তম অবস্থানে ছিল। সেই হিসেবে বাংলাদেশ এ বছর তার আগের বছরের তুলনায় দুই ধাপ পিছিয়েছে।
ডব্লিউজেপি (WJP)’র চলতি বছরের সূচক অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আইনের শাসনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে নেপাল, সূচকে যার অবস্থান ৭০তম। এরপরেই রয়েছে শ্রীলঙ্কা যার অবস্থান ৭৬তম এবং ভারতের অবস্থান ৭৯তম। খারাপ অবস্থানের দিক দিয়ে বাংলাদেশের পরেই রয়েছে পাকিস্তান যার সূচক ১৩০তম এবং আফগানিস্তান যার সূচক ১৩৪তম। তবে সামগ্রিকভাবে আইনের শাসনের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশেরই অবস্থার অবনতি হয়েছে।
শুধু আইনের শাসন নয় এরকম আরও অনেক বিষয়ে সূচক তৈরি হয়। যেমন ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল প্রতিবছর দূর্নীতির ধারনা সূচক তৈরি করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ডেইলী ইকনোমিষ্ট প্রকাশ করেন ‘বৈশ্বিক গনতন্ত্রের সূচক’। অস্ট্রেলিয়া সিডনী ভিত্তিক থিংকথ্যাঙ্ক ইন্সটিটিউট ফর ইকোনোমিক্স এন্ড পিস প্রকাশ করেন’বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক’।বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম বা ডাব্লিউ ই এফ প্রকাশ করেন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচক।
তবে, বাংলাদেশে কার শাসনের কথা বলা হবে-আইনের নাকি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার। কেননা যেখানেই আইনের শাসনের কথা আসবে সেখানেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্তৃত্বের কথা আসবেই। আইনের শাসনের কথা বলার আগে আমাদের পরিস্কার হওয়া দরকার, আইন প্রয়োগের ক্ষমতা আমরা যাদেরকে দিচ্ছি তারা কারা? তারা কতটুকু জনবান্ধব? জনগনের করের পয়সায় বেতন হলেও সেই জনগনকে রীতিমত হয়রানী করেন, নাজেহাল করেন, ব্ল্যাকমেইলিং করেন, পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে মাদক আইনে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেন, তারা কি আসলেই আইনের শাসন প্রতিষ্টার সহায়ক শক্তি? সুতরাং বাংলাদেশে আইনের শাসন আছে কি নেই তা জানার জন্য দ্য ওয়াল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট (WJP) এর রিপোর্টের দিকে তাকানোর প্রয়োজন আসলেই পড়েনা। চামড়ার চোখেই তা স্পষ্ট ফুটে উঠে।
কিন্তু এসব প্রতিবেদনের একটি একাডেমিক ও আন্তজাতিক মুল্য আছে। উক্ত WJP, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশের আইনের শাসনের ক্ষেত্রে একমাত্র শৃংখলা ও নিরাপত্তার দিক থেকে কিছুটা উন্নতি লাভ করেছে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা,দূর্নীতি, উন্মুক্ত সরকার,মৌলিক অধিকার, নিয়ন্ত্রনমূলক ক্ষমতার প্রয়োগ, নাগরিক ন্যায় বিচার ও ফৌজদারী বিচারে বাংলাদেশের সূচকের অবনতি হয়েছে। সব দিক থেকে খারাপ অবস্থা মৌলিক অধিকারের সূচকে।

ওয়াল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট (WJP) এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২৫% মানুষ মনে করে পুলিশ আইন মেনে কাজ করে,২৬% লোক মনে করে, সন্দেহভাজন আসামীদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষন করেন, মাত্র ১৮% লোক মনে করেন আইন ভঙ্গ করলে পুলিশ শাস্তি পায়।
বাংলাদেশে বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড সংগঠিত হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে বরাবরই। এসব বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বিচার বিভাগের দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ মাত্র!এসব বিচারহীনতার সংস্কৃতি, পক্ষান্তরে, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্টার পরিপন্থী! এটি ব্যক্তিগত বিরোধ, ক্রুধ ও রাজনৈতিক হীন উদ্দ্যেশ্য চরিতার্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার নামান্তর।

লোকমুখে বলতে শোনা যায়, বিশেষ ব্যক্তি, সংস্থা, গোষ্টীর কথায় কেউ একমত না হলে, কোন ব্যাপারে দ্বিমত সৃষ্টি হলে, সাধারণ মানুষকে কথায় কথায় ক্রস ফায়ার দেওয়ার হুমকি প্রদান পক্ষান্তরে আইনের শাসনের প্রতি বৃদ্ধাংগুলী প্রদর্শনের নামান্তর!পৃথিবীর কোন সভ্য দেশে, রাজ্যে এমনকি আফ্রিকার কোন জঙ্গলি রাষ্ট্রেও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বা কোন নাগরিক জবাবদিহীতার উর্ধ্বে নয়। একটা মানুষের প্রান প্রদীপ নিভিয়ে দিবে কয়েক মিনিটের চিন্তায়, পরিকল্পনায় যেখানে ঐ ব্যক্তির আত্মপক্ষ সমর্থন করার/দেওয়ার সুযোগ থাকেনা বা পাবেনা-এটা কিভাবে সম্ভব?! এটা কি রকম আইনের শাসন?

আল্লাহ তায়ালা সকল শক্তির আধার। উনার কাছে সকল সৃষ্টি জগতের উপর নিরংকুশ ক্ষমতা। অনেকেই বলে থাকেন, স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা নিজে, মানুষের উপর এত ক্ষমতা প্রয়োগ করেননা, যত না আইন শৃংখলা বাহিনী প্রয়োগ করেন ! কেননা মহান আল্লাহ মানুষকে ছাড় দেন, সুযোগ দেন ভাল হয়ে আল্লাহর দিকে ফিরে যাবার, কিন্তু কখনও ছেড়ে দেন না। মানুষ মাত্রই ভুল! তাই বলি, মানুষ ফেরেশতা নয়, তাই ভুলের উর্ধ্বেও নয়! মানুষের দৃষ্টি, চিন্তা, চেতনা ও পরিকল্পনায় ভুল হতে পারে, এটাই স্বাভাবিক। মাদক ব্যবসায়ীদের/অপরাধীদের কঠোর শাস্তি, সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক, এতে বিন্দু পরিমান আপত্তি কারও থাকার কথা নয়। এ-ই বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে হোক এটা সবাই চায়। কিন্তু তা যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হতে হবে। প্রয়োজনে জেলায় জেলায় কয়েকটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে মাদকের প্রতিটি মামলা দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করা যেতে পারে।

তবে, ইদানিং যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক স্যাংশন ও ভিসানীতি প্রয়োগের ফলে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড যেমন কমেছে, তেমনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লাগামহীনতা কিছুটা শৃংখলিত হয়েছে। সামনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। আশাকরছি-দেশ ও জাতির স্বার্থে সবদলের অংশগ্রহণে সুষ্টু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, আন্তর্জাতিক মানদন্ডে উত্তীর্ণ একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্টানে সবদল-পথ-মত এক হয়ে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্টান করতে সক্ষম হবে। অদূর ভবিষ্যতে আমাদের দেশের গনতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, রাজনৈতিক সহাবস্থান, আইনশৃংখলা পরিস্থিতি ইতিবাচক পরিবর্তন হবে।

সবশেষে বলতে চাই-বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠলে, সমাজ ও রাষ্ট্রে জবাবদিহীতা না থাকলে, এইদেশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। আমাদের অবশ্যই মানতে হবে, সবাইকে মানাতে হবে, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়, অপরাধ করে কেহ পার পেয়ে যাবার কোন সুযোগ নেই। আইনের চোখে সবাই সমান “All are equal in the eye of Law ”। আইন সার্বজনীন ও সবার জন্য সমান এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ হবে ন্যায় বিচারের কষ্টি পাথরে যাছাইকৃত, অবাধ ও নিরপেক্ষ। তাই সবাইকে আইনের শাসন প্রতিষ্টার দাবিতে এগিয়ে আসতে হবে। ধন্যবাদ সবাইকে।
[লেখকঃ কলামিষ্ট, দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিনিধি, বাপা উখিয়া উপজেলা সভাপতি ও মানবাধিকারকর্মী]