কোরান পোড়ানোর ঘটনায় সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দিলো ইরাক

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২৩

 

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক রিপোর্ট 
কোরান পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরাকের সাথে সুইডেনের সম্পর্কের অবনতি চরমে পৌছেছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বাগদাদে নিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে অবিলম্বে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইরাক। একই সঙ্গে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে নিযুক্ত ইরাকের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকেও বাগদাদে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটি। এদিন দুপুরেই সুইডিশ সরকারকে ইরাকের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, স্টকহোমে কোরান পোড়ানো হলে সুইডেন সরকারের সঙ্গে সকল কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে ইরাক। এরই ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে দেশ থেকে বহিষ্কার করার কথা জানিয়ে দিল ইরাক সরকার।

শুধু সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেই ক্ষান্ত থাকেনি ইরাক সরকার। একই সঙ্গে সুইডিশ টেলিকম সংস্থা এরিকসনকেও দেশে যাবতীয় অপারেশন অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। টেলিকম সংস্থাটিকে ইরাকে ব্যবসা করার যে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাও প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইরাক। সাথে দেশটিতে কর্মরত সকল সুইডিশ নাগরিকদেরও দ্রুত দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্যেখ্য যে,গত জুন মাসে ঈদ উল আযহার দিনে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এক ইরাকি শরণার্থীকে কোরান পোড়ানোর অনুমতি দেয় সুইডিশ পুলিশ। আর ওই ঘটনায় গোটা বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। পুরো মুসলিম বিশ্বের দেশগুলির পাশাপাশি জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকেও ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। কিন্তু তাতেও টনক নড়েনি সুইডিশ পুলিশের। বৃহস্পতিবার ফের স্টকহোমে ইরাকি দূতাবাসের সামনে কোরান ও ইরাকের পতাকা পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে সুইডেন। আর ওই খবর জানতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন ইরাকি শিয়া সম্প্রদায়। বুধবার গভীর রাতেই ইরাকের রাজধানী বাগদাদে সুইডিস দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন প্রভাবশালী শিয়া নেতা মোকতাদা আল সদরের অনুগামীরা। এমনকি দেওয়াল টপকে দূতাবাস চত্বরে ঢুকে ভবনে আগুনও ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।