মহামান্য হাইকোর্টকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইনানী জেটিতে জাহাজ চলাচলের বিজ্ঞপ্তি!

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩

 

প্রতিবাদে জেলা বাপা’র মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

বঙ্গোপসাগরের বুকে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতকে দ্বিখণ্ডিত করে উখিয়ার ইনানী বীচে তৈরি করা জেটি অপসারণ না করে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচলের ইজারা দেয়া রীতিমতো বিস্ময়ের বিষয়। তার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা শাখা।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টায় জেলা বাপার সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিমের সঞ্চালনায় সাংবাদিক এইচ এম এরশাদের সভাপতিত্বে শহরের ঘুনগাছ তলা এলাকায় এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, মহামান্য হাইকোর্টে রিট পেন্ডিং থাকার পরও ইনানী’র জেটি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চলাচলের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া বড় অপরাধ মুলক পদক্ষেপ ও সর্ব্বোচ্চ আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর সামিল। এই জেটি নিয়ে ইতিমধ্যে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট আছে যার নং ১০৪৩৭/২২। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর আদালতে শুনানি শেষে মহামান্য হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি জনাব আশফাকুল ইসলাম (বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি) ও জনাব সোহরওর্দীর দ্বৈত ব্যঞ্চ কেন এই জেটি উচ্ছেদের আদেশ দেওয়া হবেনা মর্মে এক যুগান্তকারী রুলনিশি জারি করে এবং তা চার সপ্তাহর মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। উক্ত রিটে সচিব বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়, সচিব প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়, মহা পরিচালক পরিবেশ অধিদপ্তর, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক ককসবাজার ও উপ পরিচালক পরিবেশ অধিদপ্তর ককসবাজার কে বিবাদী করা হয়।

পৃথিবীর অনেকদেশে এই রকম জেটি আছে, এই জেটি দিয়ে জাহাজ চলাচল করলে ক্ষতি কি এমন এমন প্রশ্নের জবাবে বাপার নেতারা জানান, কক্সবাজারের দীর্ঘতম সৈকতের তলদেশে যে ভূগর্ভের কাঠামো তা আর কোন দেশের মত নয়। সমুদ্র বিজ্ঞানীদের মতে এটির তলদেশের কাঠামো হিমালয়ের পাদদেশের ধারাবাহিক থরে থরে সাজানো প্লেটের মতো। তাই এটির উপর আঘাত করেল নীচের কম্পনটা বেশি অংশজুড়ে প্রতিকম্পিত হয়ে ভাঙ্গন ত্বরান্বিত করবে। ইত্যাদি কারনে আমরা জেটি নির্মানের বিরোধিতা করে আসছি। এটি যেহেতু দেশের সম্মানের ব্যাপার তাই সৌখিন ও বিলাসবহুল এই চিন্তাকারী কর্মকর্তাদের আমরা দেশদ্রোহী ও অপরিপক্ক বলে মনে করি। আমরা তখনও বলছি জেটি করতে হলে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে রেজুখালে কিংবা সোনাদিয়া চ্যানেলে সংলগ্ন নাজিরার টেকে করুন তাও সমুদ্র বিজ্ঞানীদের রিপোর্টের ভিত্তিতে।

এদিকে ইজারা বাতিল না করলে আগামী রবিবার মাননীয় রাস্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে বক্তারা।

বাপা’র মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সংহতি জানিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন আহবায়ক মুক্তাদির জয়, গ্রীন ভয়েস জেলা কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম সাহেদ, সাধারন সম্পাদক জাবেদ আনোয়ার, জেলা বাপার এস এম রুবেল, জাহেদ হোসেন, শহর বাপার সভাপতি কফিল উদ্দিন, সংগঠনিক সম্পাদক উসেন থুয়েন যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় নেতা চৌধুরী জোসেন, যুগ্ম সম্পাদক কল্লোল দে, মাটিন টিন চৌধুরী, সহসভাপতি সাংবাদিক এম আর খোকন, জাফর আলম দিদার, স ম ইকবাল বাহার।