টেকনাফ স্বাস্থ্য দপ্তরে এক মোঃ আলীর দোর্দণ্ড প্রতাপ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩

(সিক্স সিন্ডিকেটের আশকারায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও চাঁদাবাজি)

এন আলম আজাদ, কক্সবাজার ;

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অল্প সময়ে প্রচুর বিত্ত বৈভবের অধিকারী সহকারী হিসাবরক্ষক মোঃ আলীর বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ অমান্য, সরকারী সম্পত্তি জোর পূর্বক ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
ঐ দপ্তরের গাড়িচালক নুরুল আমিন উর্ধতন কর্তৃপক্ষে এ অভিযোগ করেছেন।অভিযোগের অনুলিপি চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ জেলা সিভিল সার্জন দপ্তরে পাঠিয়েছেন তিনি।তিনি অভিযোগ করেছেন,সহকারী হিসাব রক্ষক মোঃ আলী প্রতি সপ্তাহে ৫ লিডার ডিজেল এবং মাসে২ লিটার মোবিল সাথে ৫ হাজার টাকাও দাবী করেছে।এসব উপঢৌকন না দিলে চাকরী খাবেন হুমকি দিয়ে দম্বোক্তি করেছেন স্বয়ং টিএইচও স্যারও আমার এ দাবির দ্বিমত করবে না।
গাড়ি চালকের আরও অভিযোগ ক্ষমতার অপব্যবহারে সরকারি এ্যাম্বুলেন্স ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার কালে প্রায়শ তার সাথে কালো ব্যাগ বাহিত একেকজন অপরিচিত ব্যক্তি কে দেখা যায়।বিশেষ করে কক্সবাজার শহরে যাওয়া কালে অপরিচিতদের কে সঙ্গী করেন তিনি। তিনি আরও জানান ঐ অপরিচিতদেরকে না বহন করতে চাইলে তার সাথে গালমন্দ ও বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন মোঃ আলী। এসব অভিযোগ তদন্তে মোঃ আলীর বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ উঠে এসেছে।চরম দাপুটে এ সরকারি চাকুরে স্বাস্থ্য দপ্তরের বহুল আলোচিত সিক্স সিন্ডিকেটের একজন।উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ১ জন জেলা সিভিল সার্জন অফিসের ২ জন ও জেলা হাসপাতালের ২ জনের সমন্বয়ে গঠিত এই সিন্ডিকেটে রয়েছে আরও ১ জন।স্বাস্হ্য দপ্তরের নানা অনিয়ম দূর্নীতির অগ্রভাগের সারথীও এরা।তারা এবং আস্থাভাজনরা সরকারি চাকরীতে ফায়দা লুটা ও বিধি ভঙ্গ করলেও সাধারণ কর্মচারীদের ক্ষেত্রে চলে তাদের নানা বৈষম্য। এদিকে
মোঃ আলীর জীবন যাত্রাও সন্দেহজনক জানিয়েছেন গাড়ি চালক ও অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সহকর্মীও।তাছাড়া সরকারি গাড়ি নিয়ে ঘন ঘন কক্সবাজার গমনের ব্যাপারটিও রহস্যাবৃত তাদের কাছে।এদিকে ভিন্ন কয়েকটি সুত্রের অভিযোগ,তিনি তার নিজ গ্রাম উখিয়ার মরিচ্যায় আহামরি কোন দালান নির্মাণ না উঠালেও উখিয়ার কোর্ট বাজারে তার মালিকানায় বহুতল একটি ভবন নির্মানাধীন।স্হানীয়রা বলছেন,তার অঢেল সম্পদ আইনি প্রশাসনে আড়াল করতেই মোঃ আলী এ কৌশল নিয়েছে। তাছাড়াও টেকনাফের সেন্টমার্টিনে কটেজ ব্যবসাও রয়েছে তার।অফিস সহায়ক থেকে সহকারী হিসাব রক্ষক পদোন্নতিটিও সিক্স সিন্ডিকেটের প্রভাবে ভাগিয়েছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে। এত স্বপ্ল সময়ে অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক বনে গেলেন কোন পথে তাও সন্দেহ এলাকাবাসীর কাছে। এছাড়া টেকনাফ ও উখিয়ায় বিপুল পরিমান কৃষি অকৃষি জমি এবং নামে বেনামের অসংখ্য ব্যাংক একাউন্টে প্রশ্ন উঠেছে মোঃ আলী সীমান্তের কোন অবৈধ ব্যবসায় সম্পৃক্ত কি না?
কর্মস্থলে অবঃ স্বাস্থ্য পরিদর্শক পিতা মাহবুবদৌলার সুনাম বিক্রি করেও আলী এ দপ্তরের সকলকে তটস্থ রাখেন বলে অভিযোগ ভুরিভুরি।তার অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে উর্ধতন রাও টু শব্দটি করেন না বলে জনশ্রুতি রয়েছে এ দপ্তরে।
গাড়ি চালকের এমন অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সহকারী হিসাব রক্ষক মোঃ আলী বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষের তদন্তাধীন জানিয়ে ফোন লাইন কেটে দেন।

স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবাসিক সার্জেন ডাঃ এনামুল হক এ প্রসঙ্গে বলেন,কর্মচারীদের কয়েকজনের মহাদাপট এখানে। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের কিছুই বলার নেই।তবে অভিযোগ তদন্তে সত্যতা পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় শাস্তির কথা বলেছেন জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মাহবুব আলম। তিনি আরও জানান তদন্তে প্রভাব বিস্তার হবে না। প্রয়োজনে তিনি নিজেই এর তদন্ত করবেন প্রতিশ্রুতি দেন।