ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৪

ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থপাচারের অভিযোগে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের দুই পরিচালক রণ হক সিকদার ও রিক হক সিকদার এবং ব্যাংকের সাবেক দুই এমডিসহ সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল রবিবার দুদকের ঢাকা জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা দুটি দায়ের করেন দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। বিষয়টি সোমবার জানাজানি হয়।

দুদকের প্রথম মামলার আসামিরা হলেন- সিকদার রিয়েল এস্টেটের মালিক রিক হক সিকদার, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী ও চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ড ডিভিশন মো. মাহফুজুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ ওয়াদুদ, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল।

এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২৬ লাখ ২২ হাজার ৪৯৯ মার্কিন ডলার (২০১৭ সালের হিসাবে) আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্রেডিট কার্ডের লিমিটের অতিরিক্ত ২৬ লাখ ২২ হাজার ৪৯৯ মার্কিন ডলার বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেছেন।

দ্বিতীয় মামলার আসামিরা হলেন- ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক রণ হক সিকদার, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী ও চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ড ডিভিশন মো. মাহফুজুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ ওয়াদুদ ও সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল।

এই মামলার বলা হয়েছে, আসামিরা ক্রেডিট কার্ডের লিমিটের অতিরিক্ত ৬০ লাখ ৯২ হাজার ২২৫ মার্কিন ডলার বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর ডাটাবেজে ন্যাশনাল ব্যাংক মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক চিঠিতে বলা হয়েছে।

১৯৮৩ সালের মার্চে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করা ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থা ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভালো ছিল। ২০২২ সালে এসে ব্যাংকটি লোকসানে পড়েছে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার। ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে এনবিএল বোর্ডে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিযুক্ত এক পর্যবেক্ষক থাকা সত্ত্বেও ব্যাংকটি ঋণ অনিয়ম ও পরিচালকদের ব্যাংকিং বিধি লঙ্ঘনের জন্য বেশ কয়েকবার গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়।