উখিয়ায় তালিকাভুক্ত মানবপাচার সিন্ডিকেটের সদস্য ইব্রাহীমও ফয়েজ এখন অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গা পাচার

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক ;

কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার বটতলীর মানব পাচারকারী চক্রের তালিকাভুক আসামী ফয়েজ ও তার পুত্র ইব্রাহিম প্রকাশ ( বার্মাইয়া ইব্রাহিম) আগে কক্সবাজার জেলার স্থানীয়দের মালেয়শিয়ায় পাচারে জড়িত থাকলেও গ্রেফতার হয়ে জামিনে মুক্ত হয়ে আসার পর থেকে কিছুদিন গা ঢাকা দেয়ার পর বাপ বেটা এখন অবাধে রোহিঙ্গা পাচার চালিয়ে যাচ্ছে । প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৪০/৫০ জন রোহিঙ্গাকে চেপট খালী থেকে তারা মোটা অংকের বিনিময়ে সাগর পথে মালেয়শিয়ায় পাচার করে।

উল্লেখ্য যে, উক্ত পিতা পুত্র ফয়েজ ও ইব্রাহিম ২০০৬ / ২০০৭ সালের দিকে চেপট খালী থেকে উখিয়ায় এসে অবৈধ পয়সায় বিশাল দালান নির্মান করে। এবং ২০১০ সাল হতে উখিয়া থেকেই শুরু করে স্থানীয় অসহায় মানুষদের মালেয়শিয়ায় পাচার কার্য। মালেয়শিয়ায় ছিলো পিতা পুত্রের রোহিঙ্গাদের সাথে গড়ে উঠা বিশাল নেটওয়ার্ক। উখিয়ার অসংখ্য ভুক্তভোগী পিতা পুত্রের চাকরি পাওয়ার চটকদাকার প্রলোভনে পড়ে ভিটে বাড়ী বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে সাগরপথে মালেয়শিয়ায় গিয়ে কাজ পাওয়া তো দুরের কথা উলটো মুক্তিপনের টাকার জন্য তাদের সেখানে রোহিঙ্গা দিয়ে নির্যাতন করা হতো। যারা মুক্তিপনের টাকা দিতে পারতো তারা কোন রকমে দেশে ফিরে আসতে পারতো আর যারা টাকা দিতে পারেনি তাদের উপর চলতো চরম নির্যাতন। এদের মধ্য অসংখ্য বাংলাদেশী নাগরিক মালেয়শিয়ায় নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যু বরন করেছে, যার বেশ কিছু গন কবরের সন্ধান মালেয়শিয়া সরকার পেয়েছে এবং তার সংবাদ দেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিলো।

এ বিষয়ে উখিয়ার এক ভুক্তভোগী মো; রাসেল নামক একজনের কাছ থেকে জানা যায়, মালেয়শিয়ায় নিয়ে মোবাইলের দোকানে চাকরি দেয়ার নাম করে তার কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা নেয়া হয়। কিন্তু মালেয়শিয়া নিয়ে গিয়ে উলটো তাকে অমানষিক নির্যাতন করে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে দেশে ফেরত পাঠায়।

সীমান্তবাংলা/রম/২৪ ডিসেম্বর ২০২১