উখিয়ায় বনবিভাগের বনভূমিতে চলছে পাহাড় কর্তন ও অবৈধ বালি উত্তোলন। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জনপদ উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সংঘবদ্ধ একটি মাসোয়ার কমিটির নেতৃত্বে পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। প্রতিদিন উখিয়া রেঞ্জের অধিনে কিছু জনবল নিয়মিত টহলে থাকলেও এ পাহাড়কাটা আর অবৈধ বালি উত্তোলন যেন থামছেই না। কিছু দেশপ্রেমি মানুষ স্বয়োদ্যোগে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে অবহিত করলেও ওস্থানে দ্বায়সারা টহল দিয়ে চলে আসেন।
এ অবৈধ পাহাড় কাটতে গিয়ে গত ছয়মাসে মাটিচাপায় পড়ে ডজনের মত মজদুর নিহত হয়। আহত হয়েছে কমপক্ষে পঞ্চাশের অধিক।
বনসংশ্লিষ্ট লোকজন টহলের নামে ঘটনাস্থল পরিদর্শণে গিয়ে মামলার হুমকি দিয়ে মাসোয়ারা নিয়ে দ্বায় সারছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ফলে কোনো মতেই বন্ধ হচ্ছে না পাহাড় নিধন, অবৈধভাবে বালি আহরণ। ফলে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশ সংশ্লিষ্টরা। মানবাধিকার পরিবেশবাদী কর্মী সাংবাদিক আয়াজ রবি জানিয়েছেন, রেঞ্জ সংশ্লিষ্টরা সরেজমিনে গিয়ে পাহাড়কর্তন ও ড্রেজার মেসিনে বালি উত্তোলন প্রক্রিয়া বন্ধ করা না হলে জলবায়ু পরিবর্তণসহ পরিবেশ গত ভারসাম্যের চরম ঝুকি তৈরি হতে পারে।
কক্সবাজারের এনভায়রনমেন্ট পিপলস এর নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে এখন নির্দ্বিধায় নির্বিচারে পাহাড়কর্তনসহ পরিবেশের প্রতি কুঠারাঘাত করা হচ্ছে। এ অঞ্চল পরিবেশগত ভাবে পাশাপাশি পাহাড় ও সমুদ্র জলরাশি। এ জনপদের পুর্বাঞ্চালে পাহাড়বেষ্টিত ভুমি প্রাকৃতিকভাবে সৃজিত। প্রাকিৃতিক ভুমির পাহারাদার বনসংশ্লিষ্টরা দ্বায়সারা কর্তব্য পালন দেশের জন্য অশণিসংকেত। এ দুর্নীতি বা অপসংকৃতি থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে।
আলোকিত উখিয়ার নির্বাহী সম্পাদক মিজানুর রশিদ বলেন, এ উপজেলায় প্রায় শহস্রাধিক বালি ও মাটি বহনের অবৈধ ডাম্পার ট্রাক নিয়ে নির্বিচারে পাহাড় নিধনজজজ্ঞ চলছে। পাহাড়কেটে ভুমির শ্রেনী পরিবর্তনে পরিবেশের ভয়াবহ ভুমিকম্পের মত ঝুকি তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। এসব অবৈধ ডাম্পারগুলোকে ট্রাফিক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রের যৌথ অভিযানের মাধ্যমে আটক করে পাহাড় কর্তনের মত বিধংসী কর্মকান্ড বন্ধ করা সময়ের দাবী।
এবিষয়ে জানতে চাইলে, রেঞ্জকর্মকর্তা গাজি শফিউল আলম জানান, এ রেঞ্জের আওতাধি প্রত্যেক বিটে প্রতিদিন টহলাভিযান রাখা হয়েছে। বনের ভিতরে কোনো লোক পাওয়া গেলে তাদের অফিসে নিয়ে এসে স্থানীয় মেম্বারদের কাছে মুচলোকায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
পাশাপাশি গত দু’মাসে অভিযান চালিয়ে ডজনখানেক ডাম্পার আটক করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উখিয়া প্রতিনিধি