ঢাকা আহছানীয়া মিশনের মানবিক উদ্যোগ নলকূপ ও স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট পাচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৪

 

এইচ.কে রফিক উদ্দিন‌‌<>
উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের হাতিমুরা, দর্গাহবিল,লম্বাঘোনাসহ আরও কয়েকটি প্রত্যন্ত গ্রাম। ওই গ্রামের মানুষের সুপেয় পানির কষ্ট লাঘবে, ঢাকা আহছানীয়া মিশনের বাস্তবায়নে ও জিওসি’র অর্থায়নে ওয়াশ প্রকল্পের আওতায় কমিউনিটি বেজ টিউবওয়েল স্থাপন করে দিচ্ছে।

ঢাকা আহছানীয়া মিশনের এই মানবিক উদ্যোগে
সুবিধা ভোগ করবে এলাকা গুলোর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রায় তিন শতাধিক পরিবার।

এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষগুলো রান্নার জন্য ব্যবহার করে পুকুর অথবা খালের পানি। আর খাবারের পানি ফুটিয়ে পান করে। কেউ-কেউ দূরের গভীর নলকূপ থেকে পানি এনে পান করে। ফলে গ্রামটির মানুষ নিয়মিত বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে ভোগে।

গ্রামবাসীর এসব সমাস্যার প্রতিকারে ০৮ টি গভির নলকূপ স্হাপন ও ১০ টি নলকূপ মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। একই সাথে ৫০ টি স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট নির্মাণ ও ৫০ টি পুরাতন টয়লেট মেরামত করার কাজ চলছে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী) সকালে হাতিমুরা গ্রামে উপকার ভোগীদের সুবিধাজনক স্হানে টিউবওয়েল স্হাপন কাজের শুভ সুচনা করেন। এসময় অত্র ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইকবাল বাহার,ঢাকা আহছানীয়া মিশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রজেক্ট অফিসার সাইফুল ইসলাম,এডমিন এন্ড একাউন্টস অফিসার ভিখারুন নেছা সহ ও এলাকার গণ্যমান্যবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উপকারভোগী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জমির হোসেন বলেন, আমাদের গ্রামে সুপেয় পানির তীব্র সংকট আছে। ফলে আমরা পানিবাহিত রোগে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছি। কিন্তু ঢাকা আহছানীয় মিশন ঘরের দুয়ারে সুপেয় পানি পৌঁছে দেওয়ার জন্য নলকূপ স্হাপনের কাজ শুরু করেছে। আমরা এখন এ পানি পান করে পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্তি পাব।

উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য ইকবাল মেম্বার বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্য সম্মত লেট্রিনের অভাবে আমাদের এলাকার নিম্ন আয়ের সাধারন গরীব মানুষ নিরুপায় হয়ে খালবিল ও পুকুরের পানি পান করে, বাধ্য হয়ে অনেকেই চটের বস্তা দিয়ে টয়লেট বানিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তাদের টয়লেটের কাজ সারছেন। বিশুদ্ধ পানির অভাব দূর করতে ও লেট্রিন সমস্যার সমাধানে অত্র এলাকায় ঢাকা আহছানীয়া মিশনের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন।