ই এস ডি ও এনজিও থেকে কৌশলে স্থানীয়দের ছাটাই!

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৩

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ;
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় কর্মরত এনজিও সংস্থা ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ESDO) থেকে স্থানীয়দের অন্যায়ভাবে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ উঠেছে৷

বুধবার (২৬ এপ্রিল) অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি পালংখালীর একটি সংগঠনের পেডে স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়। সুত্র বলছে ESDO নামক এনজিও সংস্থাটিতে ক্যাম্প ১২,১৬,২২,২৫ ও ২৭ এ চলমান নিউট্রিশন প্রকল্পের অধীনে মোট ৬৯ জন চাকরি করেন। সেখান থেকে ৮ জনকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ছাঁটাই করছে ঐ এনজিও। নিউট্রেশন প্রকল্প শুরু হয় জানুয়ারি ২০২৩ কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত। প্রকল্প শেষ না হতেই এপ্রিলে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, হঠাৎ করে কোনো কারণ ছাড়াই এমন অজুহাত দেখিয়ে ৩০ এপ্রিল ২০২৩ শেষ কর্মদিবস দেখিয়ে চিঠি ধরিয়ে দেন ESDO নামক এনজিও। অন্যদিকে ছাটাইকৃত পদে পূনরায় বিডিজবসে চাকরির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছেন এই এনজিও সংস্থাটি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাকরি ছাঁটাই করা এনজিও কর্মীরা বলেন, আমরা জানুয়ারি ২৩ সালে নিউট্রিশন প্রকল্পে চাকরিতে যোগদান করি যা শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩৷ মেয়াদ শেষ না হতেই আমাদের বাদ দিয়ে কক্সবাজারের বাইরের লোক বা তাদের ভাইবোনকে আমাদের পদে নিয়ে আসার জন্য স্থানীয়দের ছাঁটাই করছেন৷

এদিকে নিউট্রিশন প্রকল্পের সিনিয়র এপিসি-এইচআর ইএসডিও’র মো আবুল মনসুর সরকার বলেন, পদবীর সাথে কাজে মিল না থাকাতে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে৷ এটা আমাদের ডোনার ইমেইলের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন পরে আমরা তাদের ছাঁটাই চিঠি পাঠিয়েছি৷ আর তারা কেউই নিউট্রিশন নিয়ে পড়ালেখা করেননি তাই তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে৷ আমরা একই পদে নিউট্রিশন প্রকল্পে নিয়োগ দিয়েছি সেখানে তাদেরকেও অবেদন করতে বলেছি যদি কোয়ালিফাই হয় তাহলে তাদেরকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে৷

অন্যদিকে উখিয়া উপজেলার অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি পালংখালীর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রবিউল হোসেন বলেন, ESDO নামক এনজিও-র নিউট্রিশন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানাজর ইকোনোমিকস সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স করে কিভাবে প্রজেক্ট ম্যানাজারের চাকরি করছেন বলেন প্রশ্ন করেন৷

তিনি আরও বলেন, আমরা ESDO নামক এনজিও-র বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় কমিশনার, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প ইনচার্জ, উখিয়া থানা, গোয়েন্দা সংস্থা, ইএসডিও এবং উখিয়া প্রেসক্লাবে সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগ দিয়েছি৷ যদি এখানে সমাধান না হয় তাহলে হাইকোর্ট পর্যন্ত আমরা রিট করবো পাশাপাশি বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে৷