১২ দফায়  ভাসানচরের পথে ১৪ শতাধিক রোহিঙ্গা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২২

 

শ.ম.গফুর,উখিয়া,কক্সবাজারঃ

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে ১২তম দফায় নোয়াখালীর ভাসানচর যাচ্ছে আরও ১৪৩৭ রোহিঙ্গা।বুধবার (৯ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে ২৭টি বাসে করে চট্টগ্রামের পথে রওনা দিয়েছে রোহিঙ্গারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজুওয়ান হায়াত।তিনি বলেন, ভাসানচরে উদ্দেশে রোহিঙ্গাদের একটি দল দুপুর ১টার দিকে ১৪৩৭ জন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ত্যাগ করেছেন। বিকালে আরও একটি রোহিঙ্গাদের দল ভাসানচরের উদ্দেশ্য উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ট্রানজিট পয়েন্ট ত্যাগ করার কথা রয়েছে। মূলত তারা চট্টগ্রামে রাতে পৌঁছবেন। পরদিন বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকালে সেখান থেকে ভাসানচরে পৌঁছানো কথা রয়েছে।জানা গেছে, ১৫টি মিনি বাসে করে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা ও তাদের মালামাল নিয়ে আসা হয় মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠের ট্রানজিট পয়েন্টে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ও সরকারের মধ্যে ভাসানচরে শরণার্থী ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হওয়ার পর তৃতীয়বারের মতো সেখানে রোহিঙ্গাদের নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।১২ দফায় দুপুর ১টার দিকে রোহিঙ্গাদের ১টি দল উখিয়া থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামে রওনা দিয়েছে উল্লেখ করে অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসু দ্দৌজা নয়ন জানান, ১২দফায় ১ম ধাপে রোহিঙ্গাদের ১টি দল উখিয়া থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেন।রোহিঙ্গা নেতা মো. নুর জানিয়েছেন, ক্যাম্পে সহিংস ঘটনার কারণে আতঙ্কিত উখিয়ার কুতুপালং মেগা ক্যাম্পের লম্বাশিয়া, বালুখালী, মধুরছড়া, তাজনিমার খোলা ও জামতলীসহ বিভিন্ন শিবিরের অনেকে ভাসানচরে যেতে রাজি হয়েছেন, যারা আগে সেখানে যেতে চাননি। রোহিঙ্গারা স্ব-ইচ্ছায় ভাসানচরে যাচ্ছে বলে তিনি আরও জানান, সম্প্রতি ১০টি দেশের রাষ্ট্রদূত ভাসানচর এলাকা পরিদর্শন করায় রোহিঙ্গাদের মাঝে আরও উৎসাহ যোগাচ্ছে।এদিকে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ১২তম দফায় ২৩ হাজারের ও বেশি রোহিঙ্গাকে সরকার ভাসানচরে পাঠায়। এছাড়া গতবছর মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্টের পর মিয়ানমারের সেনাদের অভিযান থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফ শরণার্থী শিবিরগুলোতে বসবাস করছেন।

সীমান্তবাংলা / ৯ মার্চ ২০২২