কক্সবাজারের টেকনাফে পাঁচ কৃষক অপহরণ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৪

টেকনাফের পাহাড়ে পাঁচ কৃষক অপহরণ : ৩০ লাখ মুক্তিপণ দাবি

কক্সবাজারে টেকনাফে পাচঁ কৃষক অপহরণের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে ।  বৃহস্পতিবার ভোরে হ্নীলার পানখালী এলাকায় পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় অপরহরণকারীরা।

অপহৃতদের পরিবারের কাছে ত্রিশ লাখ টাকা দাবি করেছে অস্ত্রধারীরা।  হ্নীলা  এলাকার ফকির মোহাম্মদের ছেলে মো. রফিক (২২) শাহাজানের ছেলে জিহান (১৩), ছৈয়দ উল্লাহর ছেলে শাওন (১৫), আব্দু রহিমের ছেলে মো. নুর (১৮) ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দু রহমান (১৫)।

পাচঁ কৃষক অপহরণের  বিষয়ে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, অপহরণের খবরটি শুনে এলাকায় এসেছি। অপহৃতদের উদ্ধারের বিষয়ে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। মুক্তিপণ চেয়ে অপহৃত রফিকের বড় ভাই মো. শফিককের কাছে মুঠোফেনে ত্রিশ লাখ টাকা দাবি করেছে ।

এ বিষয়ে শফিক বলেন, ছেলে প্রতিদিনের ন্যায় জুম চাষে পাহাড়ে যায়। কিন্তু ছেলে সেহেরি খেতে না আসায় তাকে খোঁজতে বের হয়। পরে জানতে পায় তাদের পাচঁজনকে ধরে নিয়ে যায়। অবশেষে (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ফোনে মুক্তিপণ চেয়ে ৩০ লাখ টাকা দাবি করে অস্ত্রধারীরা। বিষয়টি আমি জনপ্রতিনিধিকে অবিহিত করেছি।’

অপহৃতর মো. নুরের মা খোরশিদা বেগম বলেন, ‘আমাকে ছেলেকে অস্ত্রধারীরা ধরে নিয়ে গেছে। তবে কে বা কারা নিয়ে গেছে এখনো জানা যায়নি। কিন্তু একটি নম্বার থেকে কল করে ছেলের মুক্তিপণ চেয়ে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। আমরা খুব গরীব মানুষ এত টাকা কিভাবে জোগাড় করবো। আমি ছেলে উদ্ধারের আইনশৃঙ্খলনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি।’

জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, ‘অপহরণে বিষয়টি  কেউ এখনো অবহিত করেনি। এরপরও আমি খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’ সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, গত ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্ত সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের  ১০৩টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা। এদের মধ্য যারা ফিরে এসেছে তাদের বেশির ভাগই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরতে হয়েছে।