রোহিঙ্গা নেতা মাষ্টার মুহিবুল্লাহ হত্যাকান্ডের ফতুয়াদাতা মোলবী জকরিয়া গ্রেফতার

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২২

 

শ.ম.গফুর,উখিয়া,কক্সবাজারঃ

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতা মাষ্টার মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত এজাহার নামীয় অন্যতম আসামী,কথিত আরসা গ্রুপের ওলামা শাখার ফতুয়াদাতা মৌলবী জকরিয়াকে গ্রেফতার করেছে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন’র সদস্যরা।

৬ মার্চ দুপুরে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ১৪ এপিবিএন’র অধিনায়ক এসপি মোঃ নাইমুল হক পিপিএম বলেন ৫ মার্চ সন্ধ্যা ৭ টারদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট,সাব মাঝি হামিদ হোসেন ও হেড মাঝি তৈয়বের ব্লক থেকে তাকে আটক করা হয়।মৌলবী জকরিয়া(৫৫) ওই ক্যাম্পের ডি-৮ ব্লকের আবদুল করিমের ছেলে।তার এফসিএন নং-১৪৭৯৬৭।

এপিবিএন সুত্র জানায়,মৌলবী জকরিয়া ২০১৫ সালে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে কয়েক মাস পর ফিরে যান।ফের ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ঢলের সময় চলে আসেন এবং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে আশ্রয় গেড়েন।তিনি ২০১৯ সালে কথিত আরসা গ্রুপের ফতুয়া বিভাগের দায়িত্ব নেন।২০২০ সালে আরসা’র ওলামা শাখার প্রধান কমান্ডার হিসেবে ফতুয়া বিভাগের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ের শীর্ষ নেতা আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান (এআরএসপিএইচ) নিহত মাষ্টার মুহিবুল্লাহর সাথে তার মতবিরোধ ছিল।মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর ক্যাম্প এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হলে সে আত্বগোপনে চলে যান।তাকে ধরতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।দীর্ঘ চার মাস প্রচেষ্টার পর লম্বাশিয়া ক্যাম্প পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। মোলবী জকরিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুস্কৃতকারীদের মদদদাতাদের শীর্ষ পরামর্শক হিসেবেও পরিচিত ছিল বলে সাধারণ রোহিঙ্গা সুত্রে জানা যায়।

এ সংক্রান্তে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানালেন ১৪এপিবিএন’র অধিনায়ক এসপি
মোঃ নাইমুল হক পিপিএম।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ায় লম্বাশিয়া ক্যাম্প এলাকায় আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে তার কার্যালয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এর পর ২৩ অক্টোবর ভোরে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১৮ নম্বর ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি মাদ্রাসায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ছয়জনকে। চাঞ্চল্যকর এ দুটি হত্যাকাণ্ডের জন্য আরসাকে দায়ী করে আসছেন নিহতের স্বজন ও সাধারণ রোহিঙ্গারা। এ ছাড়া ক্যাম্পে নিরাপত্তার জন্য আরসাকে হুমকি মনে করে প্রায়ই আতংকে থাকেন সাধারণ রোহিঙ্গারা।

সীমান্তবাংলা / ৬ মার্চ ২০২২