রায়পুরায় টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২২

 

মো: খায়রুল ইসলামঃ
নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আজগর আলী (৫৫) নামে একজন নিহতের ঘটনায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

রোববার (২০ নভেম্বর) রাতে নিহতের ভাই মো. হারিছ মিয়া বাদী হয়ে শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার শাহ আলম ও তার স্ত্রী এবং দুই ছেলেসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে রায়পুরা থানায় হত্যা একটি মামলাটি করেন।

ঘটনার দিন শনিবার (১৯ নভেম্বর) অস্ত্রসহ গ্রেফতার হন শাহ আলমের ছেলে হৃদয় হাসান (২০)। পরে পুলিশ বাদী হয়ে হৃদয় ও তার বাবা শাহ আলমকে আসামি করে অস্ত্র আইনে মামলা করে। রোববার অস্ত্র মামলার প্রধান আসামি হৃদয়সহ অন্য আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ জানান, সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত হত্যা ও অস্ত্র মামলায় শাহ আলমের স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমসহ অন্যরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, গত বছর উপজেলার ইউপি নির্বাচনে শ্রীনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শাহ আলম মেম্বার ও হাজী আব্দুল খালেক। নির্বাচনে হাজী আব্দুল খালেক বিজয়ী হন। পরে পরাজিত শাহ আলমকে ভোট না দেয়ায় গত ১৩ জুলাই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে টেঁটাসংঘর্ষে লিপ্ত হয় উভয়পক্ষের সমর্থকরা।
এতে শাহ আলম মেম্বারের সমর্থক মফিজ উদ্দিন নামে একজন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এরই জেরে শাহ আলমের সমর্থকরা বিজয়ী আব্দুল খালেকের লোকজনের অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। ওই ঘটনায় মফিজের পরিবারের পক্ষ থেকে খালেক মেম্বারসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। এরপর থেকে প্রায় পাঁচ মাস ধরে এলাকাছাড়া ছিলেন খালেক গ্রুপের সমর্থকরা।

গত শনিবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে খালেক গ্রুপের লোকজন পুনরায় গ্রামে ফেরার চেষ্টা করলে বর্তমান মেম্বার আব্দুল খালেক হাজি ও সাবেক মেম্বার শাহ আলম গ্রুপের সমর্থকরা টেঁটা সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় প্রতিপক্ষের টেঁটার আঘাতে গজারিয়া কান্দি গ্রামের আশ্রাব আলীর ছেলে ও বর্তমান ইউপি সদস্য খালেক হাজীর সমর্থক আজগর আলী (৫৫) মারা যান। এ ঘটনায় আহত হন আরও অন্তত ১০ জন। ওই দিন ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে আটক করে পুলিশ।