নরসিংদীতে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৪

মো: খায়রুল ইসলাম:

নরসিংদীতে বেড়েছে লোডশেডিং। এর ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তবে নরসিংদী ১ ও ২ পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, মার্চের শেষ দিক থেকে হঠাৎ দাবদাহ বেড়ে যাওয়ায় লোডশেডিংয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা। এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে উৎপাদনের চেয়ে খরচ বেশি হওয়ায় বিদ্যুৎ সংকট রয়েছে।

নরসিংদী শিল্প শহর হওয়ায় আবাসিক থেকে বাণিজ্যিক লাইনগুলো সরবরাহ যতেষ্ঠ ভালো দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেন জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, অন্যান্য মাসের তুলনায় এই রমজান মাসে তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে শ্রমিকদের মজুরি কমে গেছে। এতে ব্যহত হচ্ছে বস্ত্র উৎপাদন। লোডশেডিংয়ের প্রভাবের কারণে কলকারখানার মালিকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

নরসিংদী পৌরশহরের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী, কবির হোসেনসহ অনেকে বলেন, সারাদিন যেমন বিদ্যুৎ থাকে না, তেমনি রাতে ঘুমানোর সময় বিদ্যুৎ থাকে না। এতে সেহেরি খেতে আমরা বিপাকে পরি। ঘন ঘন লোডশেডিং ফলে অফিসের কাজ করতেও সমস্যা হচ্ছে।

চৌয়ালা এলাকায় পাওয়ারলুম মেশিনে কাপড় উৎপাদন করে, গজ প্রতি মজুরি নেন কামাল হোসেন, সাকিল, ছগির আহমেদ রাজু আরো অনেকে। তারা বলেন, প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা কাজ করে কাপড় বুনে গজপ্রতি আমাদের মজুরি আসে। কিন্তু ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় মজুরি কমে গেছে। এবার অন্যান্য মাসের তুলনায় বিল অনেক কম। এতে ঈদের বাজারে অর্থ সংকটে আছি আমরা।

কারখানার মালিক আলহাজ্ব জহিরুল ইসলাম বলেন, রোজার শুরুতে ১৫ রোজা পর্যন্ত সাদা কাপড়ের চাহিদা থাকে। কিন্তু এবার লোডশেডিংয়ের ফলে অনেক কাপড় উৎপাদন কমে গেছে। আমরা কারখানার মালিক প্রতিবাদ করলেও সংশ্লিষ্টদের কিছু যায় আসে যায় না।

বিভিন্ন দোকানিদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, লোডশেডিং ফলে ঈদের বেচাকেনা ব্যহত হচ্ছে। তারা জেনারেটর সার্ভিস নিয়েও পাচ্ছেন না। কারণ তা লিমিট করে দেয়।

মাধবদী শহরে জেনারেটর সার্ভিস দেন জামাল বাদশা। তিনি বলেন, সারা বছর বিদ্যুতের বিকল্পে আমরা জেনারেটর সার্ভিস দেই। এখন জ্বালানি তেলের দামও বেশি। আবার ঘন ঘন লোডশেডিং। এর ফলে আমাদের লাভের মুখ দেখা কষ্ট হয়ে গেছে। আর রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে আমরা চেষ্টা করি লোডশেডিং হলে জেনারেটর সার্ভিস ভালো দিতে।

নরসিংদী পল্লী বিদ্যুত সমিতি- ২ এর জেনারেল ম্যানেজার শেখ মানোয়ার মোরশেদ বলেন, হঠাৎ তীব্র গরমে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহার বেশি হচ্ছে। আমাদের চাহিদার তুলনায় সরবাহ কম। তাই বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। আমরা চাই গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে। কিন্তু সম্ভব হয় না।

নরসিংদী পল্লী বিদ্যুত সমিতি- ১ এর জেনারেল ম্যানেজার আবু বকর শিবলী বলেন, আমরা ক্রটি ছাড়া লোডশেডিং দিতে চাই না। গরম বেড়ে গেছে, আর রমজান মাসে বিদ্যুৎ ব্যবহার বেশি হয়। কেন্দ্রীয় জ্বালানি সংকট রয়েছে। তাই বিদ্যুৎ আমাদের সরবাহ কমে গেছে। তাই সারাদেশে লোডশেডিং হচ্ছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে আসলে আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে।