রাজাপালং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিতঃসভাপতি মোক্তার শেখ,সম্পাদক নিজাম

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২২

 

এইচ.কে রফিক উদ্দিনঃ
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ উখিয়া উপজেলা সদর রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে।এতে সভাপতি মোক্তার আহমদ শেখ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৩মে) বিকাল ৩টায় নুরুল ইসলাম চৌধুরী গুলজার বেগম উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। সম্মেলন কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন,রাজাপালং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক জয়নাল আবেদীন জয়।সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব শেখ মোক্তার আহমেদ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন,উখিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রোস্তম আলি চৌধুরী,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপন শর্মা রনি।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,জেলা কৃষক লীগ নেতা আক্তার উদ্দিন টুনু,উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজুল হক রিয়াজ,ইউপি সদস্য আব্দুল হক মেম্বার, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুফিজ মিয়া,উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি উপজেলা সম্পাদক পদপ্রার্থী নুর মোহাম্মদ শেখর সহ উপজেলার প্রত্যক্ষ ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তারা বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ সরকার দেশ পরিচালনায় বিশ্বের কাছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। দেশ আজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন শহরের সাথে তাল মিলিয়ে গ্রাম-গঞ্জেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তৃণমূলে সংগঠনকে আরো গতিশীল করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মীদের নিরলসভাবে কাজ করার বিকল্প নেই।

বক্তারা আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির সুখ-শান্তির জন্য স্বাধীনতার সংগ্রাম করেছেন। সেই সময়ে পাকিস্তানের দু:শাসনের মধ্যে জাতির পিতা ১৩ বছর কারাগারে ছিলেন। তার এই ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে পরাজিত করে বাংলার মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় এনেছিলেন। সেই দিনটিকে, সেই মাসটিকে আমরা এখনও স্মরণ করি। বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জাতির জনককে আজও আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। সেই সঙ্গে স্মরণ করছি বীর সেনানীদের, যারা নিজেদের জীবন আত্মাহুতি দিয়ে বাংলাদেশের বিজয়কে ত্বরাণ্বিত করেছেন।

সেই সঙ্গে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তারা বলেন, তারা তাদের স্বজনদের ফেলে ছুটে গিয়েছিলেন দেশ স্বাধীকার আন্দোলনে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিলেন। এখন তার কন্যা বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান তারা।