মনোহরদীতে শিল্পমন্ত্রীর ছেলেকে ফাঁসানোর নাটক, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৪

মো: খায়রুল ইসলামঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম। নির্বাচনের আগের রাতে মন্ত্রীর ছেলে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদীর বিরুদ্ধে গুলির নাটক সাজানোর প্রতিবাদে এবং কাজী মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে মনোহরদী উপজেলা যুবলীগ।
বুধবার (২৪ জানুয়ারী) দুপুরে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এমএস ইকবাল আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশেদুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক তৌহিদ সরকার, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান রুপন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আলম, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান তামান্না প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনের সংসদ সদস্য শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছেলে মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদি। তাঁকে ফাঁসাতে এক ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর গুলির নাটক সাজানোর অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় সম্প্রতি যুবলীগ নেতা মাজহারুল ইসলামের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। তারপর থেকে গুলির নাটকের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এলাকায়।
এ ছাড়া ইতিপূর্বে মাজহারের বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্বাচনের আগের দিন ৬ জানুয়ারি রাতে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম খান বীরুর সমর্থক চন্দনবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রউফ হিরনের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে শিল্পমন্ত্রীর ছেলে সাদির বিরুদ্ধে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওসহ অডিওতে মাজহারুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, ‘হিরনকে (চন্দনবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান) বলবা জোরালোভাবে বলার জন্য যে সাদি ইয়া করছে।
তিন-চার মিনিটের মধ্যে ডিসি আসতেছে। ২৫টা গাড়ি নিয়ে আসতেছে। সব লোকজনকে রাস্তায় বের হতে বলো। হিরনকে বলবা যেন সে স্পষ্টভাবে বলে সাদিই তাকে গুলি করছে।
এটা যেন শক্তভাবে বলে এবং এটা তোমরা লাইভ করে ফেলবা। পাঁচ-ছয়জনে লাইভ করলে ছোটার আর রাস্তা পাবে না। সব লোক জড়ো হইতে বলো। বিশাল বড় কিন্তু অবস্থান শো করতে হবে। বললে হিরন যেন সুন্দরভাবে স্পিসগুলা দিয়ে দেয়। একেবারে স্পষ্টভাবে তারে (সাদী) যেন দোষী করে দেয়।’