পরিদর্শনে দারুণ অসন্তোষ ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪

 

সদর হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তুলোধুনো করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

এন আলম আজাদ কক্সবাজার

৩ দিনের সরকারি সফরের ২য় দিনে জেলা হাসপাতাল সহ কয়েকটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নামের গলাকাটা চিকিৎসা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে দারুণ আলোচনায় এসেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা.সামন্ত লাল সেন।সরকারি সফরের অনির্ধারিত এই অভিযানকে সাধুবাদ জানাচ্ছে জেলার বিভিন্ন স্তরের পেশাজীবিরাও।তাদের মতে মন্ত্রী সামন্ত বাবু হাসপাতাল পরিচালনাকারীদের থলের বিড়াল খুলে নিয়েছেন। যেই হাসপাতালে তিনি গেছেন সবটাতেই চিকিৎসার নামে গেড়ে বসা নৈরাজ্য খুঁজে পেয়েছেন। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা স্বচক্ষে দেখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উম্মা প্রকাশ করেন এবং এসব পরিচালনায় সরকারি দায়িত্বরতদের ভৎর্সনা করেন।
মন্ত্রী হাসপাতালের টিকেট কাউন্টার, জরুরি বিভাগ সহ ভর্তি নারী পুরুষ রোগীদের শয্যায় গিয়ে সেবাপ্রার্থী সাধারণ মানুষের সাথেও মিনিট কয়েক কথা বলেন।পরে তিনি হাসপাতালের সার্বিক কর্মকাণ্ডে দারুণ অসন্তোষ প্রকাশ করেন।সার্বিক অব্যবস্হাপণার পাশাপাশি কর্মচারীদের গোয়েবলসিয় ও অবহেলা পূর্ণ কর্মকাণ্ডেও তিনি অসন্তুষ্ট হন।
হাসপাতালের আইসিওতে অভিজ্ঞতাবিহীন কর্মচারী না থাকায় মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের কাছথেকে কেন তা জানতে চান।একইভাবে তিনি সদর হাসপাতালের অনতিদূরের কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালও পরিদর্শন করেন। এর মধ্যে বিশেষায়িত হাসপাতালের তকমাধারী ইউনিয়ন হাসপাতালের কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।স্বাস্থ্যবিধির কোনটাই মান্য হয়না গলাকাটা এ হাসপাতালে। চিকিৎসা সেবায় হযবরল এই হাসপাতালের সিটি স্ক্যান, ল্যাব ও আইসিওতে রয়েছে বিরাট ঘাপলা। দক্ষ যোগ্য টেকনিশিয়ান নেই এসব পরিচালনায়। শুধু তাই নয়, এ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা রয়েছে দারুণ স্বেচ্ছাচারেও।হাসপাতালের ন্যায় একটি জনগুরুত্বের প্রতিষ্ঠানের চেয়ারে বসে সিগারেট ফুকতেও বিবেকে বাধছে না তাদের। এসব নৈরাজ্য আর অব্যবস্হাপনার স্বাক্ষী না হয়ে এক সময় দারুণ ক্ষোভ ও অভিমানে অভিযান স্হলথেকে ফেরত আসেন। সূত্র জানায়, মন্ত্রী অভিযান স্থগিত রেখে সেই যাত্রায় ফেরত গেলেও তার সফর সঙ্গী স্বাস্থ্য সচিব,স্বাস্থ্যের ডিজি জেলা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জনকে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের নির্দেশ দেন। অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট শাখা গুলোর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যবিধি আইনে কঠোর পদক্ষেপের বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন মন্ত্রী।তাঁর এ নির্দেশের ১২ ঘন্টা গত হওয়ার আগেই আজ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসনের এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্বাবধানে শহরের দুটি বেসরকারি হাসপাতালে ভ্রাম্যমান অভিযান চালানো হয়।অভিযানকারী এই টিমটি ইউনিয়ন হাসপাতালের আইসিও সিলগালা করে দেন এবং অর্থদন্ড দেন।একইভাবে বেসরকারি জেনারেল হাসপাতালেও অভিযান চালিয়ে মৌখিক সর্তকের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করার অপরাধে এই প্রতিষ্ঠানটিকেও জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।