রামুতে মা-ছেলে হত্যা চেষ্টার নৃশংস ঘটনায় মামলা হলেও কোন আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪

 

বেলাল আজাদ, কক্সবাজার:

কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের পাহাড়তলী এলাকায় গত ৬ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় কতিপয় মানবপাচারকারী সিন্ডিকেট কতৃক মা-ছেলে কে নির্মম ও নৃশংস ভাবে সারা শরীরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করার ঘটনায় রামু থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হলেও এখনো পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার করা হয়নি। অন্যদিকে নিশংস হত্যা চেষ্টার ঘটনায় গুরুত্বর আহত মা ও ছেলে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জানা যায়, রামু থানায় রুজু হওয়া মামলার বাদী উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের পাহাড়তলী এলাকার মৃত সিদ্দিক আহমেদের পুত্র অহিদুর রহমান (৬৭) এর ছেলে শাহাদাত হোসেন ডালিম (২৪) কে এলাকার কতিপয় মানবপাচারকারী সিন্ডিকেট কতৃক বৈধ পথে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে সমুদ্র পথে মায়ানমারে নিয়ে গিয়ে মানবপাচারকারীদের ডেরায় বন্দী রেখে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে ৮ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় একাধিকবার শালিস-বিচারও হয় এবং শাহাদাত হোসেন ডালিম কে তার ৮ লাখ টাকা ফেরত দিতে বলা হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শাহাদাত হোসেন ডালিম ও তার মা হুমায়রা বেগম  (৬০) মানবপাচারকারীদের কাছে লালুনির দোকান নানক স্থানে গেলে মানবপাচারকারী সিন্ডিকেটের মোঃ হোছন প্রকাশ চুরা মাছনের ছেলে মোঃ সোহাগ (২৮), রায়হান উদ্দীন (২২) ও মোঃ রাখছান (১৮), মোঃ মোক্তারের ছেলে মোঃ তৈয়ব (৩২), ছুরুত আলমের ছেলে মোঃ তোফাইল (১৮), মোঃ ফেরদৌস প্রকাশ পেটানের ছেলে ছাদেক (১৯), ফরিদ আহমদ প্রকাশ ধইল্লার ছেলে ইব্রাহীম (২০), আবুল বশরের ছেলে মোঃ ওয়াহেদ (২০) এবং মৃত মোঃ কালুর ছেলে মোঃ হোছন প্রকাশ চুরা মাছন (৬০) কতৃক এক যোগে লম্বা কিরিচ দা দিয়ে মা ও ছেলে কে নৃশংস ভাবে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ ঘটনায় মা হুমায়রা বেগম (৬০) ও ছেলে শাহাদাত হোসেন ডালিম (২৪) এর সারা শরীরে অর্ধ শতাধিক কোপে শত শত কাটা আঘাত ও ছেলে ডালিমের মাথার মগজ বের হয়ে যায়। বর্তমানে সংজ্ঞাহীন মা ও ছেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন আছে।  এ ঘটনায় জড়িত ৯ আসামীর বিরুদ্ধে রামু থানার মামলা নং-২০, তাং- ১২/০২/২০২৪ ইং (জি.আর-৯৩/২০২৪) ধারা: ১৪৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭ দন্ডবিধি রজু হলেও এখনো  পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার করা হয়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রামু থানার এস.আই মোঃ সালাউদ্দীন খান নোমান জানান, মামলার আসামীদের গ্রেফতারে জোর অভিযান অব্যাহত আছে।