দলীয় অপরাধীদের দমনে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছে সরকার

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২০

দলীয় নেতাকর্মীসহ সব ধরনের অপরাধীদের দমনে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছে সরকার। বিশেষ করে আলোচিত কোনো অপরাধের জন্য মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা নেতারাও পার পাচ্ছেন না।

বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ালেই ‘অ্যাকশন’ নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা রয়েছে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। সে কারণেই আইনের আওতায় আসতে হয়েছে পুরান ঢাকার দাপুটে নেতা হাজী সেলিম পরিবারকেও। তাদের অন্যায়-অনিয়ম তদন্তে চলছে বহুমুখী অনুসন্ধান।

কেবল হাজী সেলিমই নয়, বিভিন্ন সময়ে তার মতো আরও যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে তাদের সন্ধানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি সরকারের বার্তা হল- ‘ব্যক্তি অপকর্মের জন্য সরকারের অর্জন ম্লান করতে দেয়া যাবে না।’

টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করা আওয়ামী লীগকে বিভিন্ন অপরাধে জড়ানোয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও শক্ত অবস্থানে দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি সফল অভিযানে মতিঝিলের ক্লাবপাড়ার ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের অবসান হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও অপরাধে জড়িয়ে আইনের আওতায় আসতে হয়েছে অনেককে। অন্তত এক ডজন এমপিকে আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে জবাবদিহীতার আওতায় আনা হয়েছে।

নানা সময়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ানোয় দলের হাইকমান্ডের বিশেষ নজরদারিতে এসেছেন অন্তত ২৩ জন এমপি। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পদে থেকে বা পদ ব্যবহার করে অপরাধে জড়িয়ে এসেছে কঠোর শাস্তির আওতায়।

এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এরা যাতে ভবিষ্যতে দলের নাম ভাঙিয়ে অপরাধ করতে না পারে সেজন্য অনেকের বিরুদ্ধে নেয়া হয়েছে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও। দলের বিভিন্ন পর্যায় থেকে শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণাও এসেছে একাধিকবার।

( সীমান্তবাংলা/ শা ম/ ১ নভেম্বর ২০২০)