জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে এবার মাঠে নামলো সেনাবাহিনী! 

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৪

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আজ থেকে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ সামরিক বাহিনী তাদের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছে, শুরু করেছে টহল।

এদিকে সেনাবাহিনী নামায় সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ব্রিফিংকালে এমনটা দাবি করেন তিনি। ইসি রাশেদা বলেন, ‘আমাদের যত আয়োজন সব নির্বাচনকে ঘিরে। তাই নির্বাচনের পরিবেশকে সুন্দর রাখতে আজ থেকে সেনাবাহিনীকে নামানো হয়েছে। শুধু সেনাবাহিনী না, আমাদের যত বাহিনী আছে, সবই এখন সুশৃঙ্খল ও উন্নত হয়েছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে ইসি বলেন, আমি মনে করি নির্বাচনের মাঠ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। কোনো অনিয়ম পেলে আপনারা ছবি তোলে প্রমাণ দেন। আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নেব। যেখানেই অনিয়ম, সেখানেই আমাদের অ্যাকশন চলবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন কারণে অনেকের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে । আপনারা দেখেছেন এর আগে আমরা গাইবান্ধায় ভোটও বন্ধ করেছি।

 

ভোটের পরিবেশ কেমন হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে এ কমিশনার বলেন, ‘ভোট এখন যেটা হচ্ছে সেটা উৎসবমুখর ও সুন্দর হবে, এটা আমি বলতে পারি। ১৯৯৬ সালে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হওয়ার কারণে সেই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তাই আমরা এবার নির্বাচনে কোনো বিতর্ক তৈরি করতে চাই না।

ইসি রাশেদা আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। আমাদের নৈতিক দায়িত্বটা ভালো নির্বাচন করা এবং পত্র-পত্রিকা দেখে আমার মনে হচ্ছে সরকারই চাচ্ছে একটা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হোক।

 

ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা গুরুত্বের সাথে নিয়েছি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার জন্য। সে জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা প্রচার করে যাচ্ছি। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রের প্রাণ, ভোটাররা না থাকলে নির্বাচন নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে, তবে আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব তথ্য পাচ্ছি, তাতে আমরা আশাবাদী ভোটকেন্দ্রে আগের তুলনায় ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

একটি বড় দল (বিএনপি) নির্বাচনে না আসা ও তাদের ভোট প্রতিহত করার ঘোষণাকে কীভাবে দেখছেন, এমন প্রশ্নে ইসি রাশেদা বলেন, দলগুলোর জন্য ভোটে আসা না আসা তাদের স্বাধীন ইচ্ছা, কিন্তু সে জন্য তো আর ভোট থেমে থাকবে না। আর ভোটকে কোনভাবেই প্রতিহত করতে দেয়া হবেনা। কোনো নাশকতামূলক কাজ করা যাবে না। এসব কাজ যদি তারা করে, তাহলে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি, যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। তবে সব দল নির্বাচনে আসলে একটা স্বস্তির বিষয় হতো, একটা উৎসবের বিষয় থাকত।