ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচনে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলার নেতারা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২

আওয়মী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে শীর্ষ পতপ্রত্যাশীদের মাঝে। পরবর্তী নেতৃত্বে আসার জন্য ইতোমধ্যে দৌঁড়ঝাপ বেড়েছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও বেড়েছে তদবীর।

নতুন নেতৃত্ব কে আসবে তা নিয়ে চলছে বেশ তোরজোর। তবে ছাত্রলীগের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা গেছে ঢাকার আশে-পাশের এলাকা নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ প্রভৃতি জেলার ছাত্রনেতাদের সেভাবে শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত করা হয়নি। সর্বশেষ ২০০২-২০০৬ সালের কমিটিতে দলটির অন্যতম শীর্ষপদ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন নারায়নগঞ্জ জেলার নজরুল ইসলাম বাবু।

এ অঞ্চলগুলোর অন্তর্ভুক্ত ছাত্রনেতাদের মনে আক্ষেপ তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তেমন মূল্যায়িত হয় না। ছাত্রলীগের শীর্ষ পদগুলোতে এসব এলাকার ছেলে-মেয়েদের সব সময় বঞ্চিত রাখা হয়। এতে এসব এলাকায় নেতৃত্বের শূন্যতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকাটাইমসকে বলেন, কোনো জেলা বা বিভাগ দেখিয়ে নেতা হয় না। যোগ্যতার মাপ কাঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে সংগঠনে নেতৃত্বে জায়গা দেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ঢাকাটাইমসকে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল যেখানে গণতন্ত্রের চর্চা করা হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যে কেউ প্রার্থী হতে পারে। যোগ্যতার দক্ষতা ও ভিত্তিতেই সংগঠনের দায়িত্ব প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন কে সামনে রেখে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আসন্ন ৩০ তম সম্মেলনে এসব এলাকা হতে বিশেষ কিছু কারণে শীর্ষ নেতৃত্ব প্রয়োজন বলে মনে করছেন আওয়ামিলীগের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।

ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে বিশেষ দুটি অঞ্চলের প্রভাব থাকার কারণে একটি অদৃশ্য বলয় এবং ছাত্র রাজনীতিতে এক ধরণের আঞ্চলিকতার বলয় তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন এই নেতৃবৃন্দ। এই আঞ্চলিকতার কারণে ছাত্রলীগে ঐ বিশেষ অঞ্চলভিত্তিক গ্রুপিং তৈরির কারণে ছাত্রলীগ সামগ্রিকতা হারাচ্ছে এবং এক ধরণের স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে বলেও মনে করছেন তারা।

এসব সমস্যা কাটাতে এবার ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব খোঁজা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আরো একটি বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেটি হচ্ছে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামাত চক্র ঢাকাকে অচল করে দেওয়ার লক্ষ্যে জনসমাগম করতে পারে। তাদের এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ছাত্রলীগকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আর সেজন্য এইসব পার্শ্ববর্তী এলাকার আওয়ামী রাজনীতিতে প্রভাবশালী এবং ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত আছে তাদের কেউ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আসলে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা।

তাই সবদিক বিবেচনায় এসব অঞ্চলের যোগ্য-মেধাবী এবং ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী পরিবারের যে কারো বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে আসার সম্ভাবনা প্রবল।ইতোমধ্যেই এসব এলাকার কারা কারা যোগ্য প্রার্থী আছে,তাদের খোঁজখবর নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দায়িত্বশীল নেতাদের কাছে জমা দিয়েছে বিশেষ একটি গোয়েন্দা সংস্থা