ঘুমধুমের রেজুআমতলীর ইয়াবার কারবারি জাফর আলম অধরা।

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২২

 

পার্বত্য চট্টগ্রামের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের আওতাধীন রেজুআমতলীর ইয়াবা মহাজন জাফর আলমের বেপরোয়া চলাচল ও নানা অপকর্মে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। যার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা এদেশের সাধারন মানুষ।

গত – অক্টোবর মাসে মিয়ানমার থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবার চালান নিয়ে আসার খবর পেয়ে ৩৪ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান বিজিবি জোযানরা গোপন সূত্রে জাফর আলমের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করলে – বিজিবির হাত থেকে কৌশলে পালিয়ে যায় জাফর আলম।

জাফর আলম রেজু আমতলীর দক্ষিণ পাড়া ৮ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা (পিতা) মোহাম্মদ হোসেন ও (মাতা) আনোয়ারা বেগম এর সন্তান। বহুকাল ধরে হুজুরের রুপ ধারণ করে চালিয়ে যাচ্ছেন ইয়াবা কারবার।

৩৪ বিজিবি, আওতাধীন রেজুআমতলীর সীমান্ত ফাড়ির একটি দল গোপন সুত্রে খবর পেয়ে রেজু আমতলী পাড়া সংলগ্ন এলাকা অভিযান পরিচালনা করলে বিজিবি এর উপস্থিতি টের পেয়ে জাফর আলম তার সাথে থাকা ৩০ হাজার পিস ইয়াবা সহ নিয়ে নিজ বাসভবন থেকে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় সচেতন মহল’ রা জানিয়েছেন, অক্টোবর মাসে মিয়ানমার থেকে দুইটি ইয়াবার চালান এসেছিলো ভাগ্যক্রমে একটি চালান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও অন্যদিকে জাফর আলমের কাছে আসা বৃহৎ চালান কৌশলে সরে পড়ে। ৩৪ বিজিবি জাফর আলমের ইয়াবার চালানের খবর পেয়ে তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করলে তখনই সীমান্ত এলাকায় বহু ইয়াবা সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রশাসনের টহল দলের গতিবিধি নজরদারি লক্ষ্যরত ইয়াবা সিন্ডিকেটের সদস্যদের খবর পেয়ে জাফর আলম বিজিবি তার বাসায় আসার আগেই পালাতে সক্ষম হয় । উক্ত ইয়াবার সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোঁখ ফাঁকি দিয়ে অস্ত্র ,জঙ্গি তৎপরতা ও ইয়াবা পাচারে তৎপর ।

মিয়ানমার কেন্দ্রিক ইয়াবার বিশাল চালান মজুদ করে এদেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতে থাকে জাফর আলম । খুব অল্প সময়ে রেজু আমতলীর প্রভাবশালী চক্রের আশ্রয়-প্রশয়ে থেকে চালাতে থাকে হরদম ইয়াবা ব্যবসা। স্থানীয় জনসাধারনের দাবি জাফর আলমকে গ্রেফতার পূর্বক ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে বহু অপকর্মের অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে।

এব্যপারে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা টানটু সাহা বলেন, ইয়াবা সহ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রনের জন্য আইনশৃঙ্খা বাহীনির সদস্যরা সর্বদা সর্তক রয়েছে। যেখানে ইয়াবা খবর পাওয়া যাচ্ছে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ইয়াবার সাথে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছেনা। অভিযোগ পেলে গ্রেফতার করে আইনের আওয়তায় নিয়ে আসা হচ্ছে।