ঈদগাঁও আ.লীগের নেতা নির্বাচনে বিএনপির নেতারাও ভোটার!

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২

 

এন আলম আজাদ,কক্সবাজার

নবগঠিত ঈদগাঁহ উপজেলা আওয়ামী লীগের বহুল প্রতিক্ষিত সস্মেলন কাল (১২ সেপ্টেম্বর) স্হানীয় ঈদগাঁহ হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা থাকলেও কাউন্সিল কে ঘিরে টান টান উত্তেজনাও বিরাজ করছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ ২ টি পদে প্রায় ৬ জন প্রার্থী প্রতিদন্ধী।এদের কয়েকজন ডাক সাইটে ছাত্র নেতা জনপ্রতিনিধি ও নিজ পেশায় প্রতিষ্ঠিত।
উপজেলা কমিটির ৭৫ জন,নতুন অন্তর্ভুক্তির ১৫ জন এবং প্রতি ইউনিয়নের ৩১ জন সহ ৫ টি ইউনিয়নে মোট ২৪৫ জন তাদের প্রত্যক্ষ ভোটে নতুন নেতা নির্বাচনের অপেক্ষায়।

তবে কাউন্সিল তালিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে।গণমাধ্যম সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতাকর্মীদের বড় অংশই বলছে এ তালিকায় জামাত বিএনপির অনুসারিদের রাখতে গিয়ে দলের নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মীদের ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে।

উপজেলা কমিটি সহ প্রতি ইউনিয়নে ২- ৩ জন সরকার বিরুধী কর্মকাণ্ডে লিপ্তরাই কাউন্সিলর তালিকায় নাম উঠিয়েছেন।এদের কয়েকজন ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর,জাতির জনকও প্রধানমন্ত্রীর ছবি অবমাননা মামলার আসামীও।

তারা কোন কোন প্রার্থীর সাথে ভোটের প্রচারণায় গিয়ে কালো টাকা বিলানোর অভিযোগও রয়েছে।উপজেলা কাউন্সিলে বর্তমান সরকার বিরুধী ব্যক্তি কীভাবে কাউন্সিলর তালিকায় স্হান পেল এ প্রশ্নের কোন উত্তর দিচ্ছেন না দলটির শীর্ষ নেতারাও।

অভিযোগ আছে, সুবিধাভোগী ও বিএনপি ঘেষা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে জয়যুক্ত করছে বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগান দিচ্ছে ঈদগাঁও বিএনপির এক শীর্ষ নেতা ও তার ভাইয়েরা। মূলতো উপজেলা নিবার্চনকে সামনে রেখে ও ঈদগাঁও এর রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় বিএনপির এ চক্রটি।তাদের সাথে হাত মিলিয়েছে আওয়ামীলীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতা। তারা বিএনপির টাকা সভাপতি সম্পাদকসহ নানা পদে আসতে মারিয়া হয়ে উঠেছে। জেলা আওয়ামীলীগের একজন শীর্ষ নেতাও তার সহযোগী হয়ে কাজ করছে দীর্ঘদিন ধরে।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা জানান,সম্মেলন শেষে কাউন্সিল অনুষ্ঠানে সাবজেক্ট কমিটির বৈঠকে অভিযুক্ত এসব কাউন্সিলরদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে এবং এমনকি তাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়েই নতুন নেতা নির্বাচনের পথ সুগম করা হবে।

আপত্তিকর কাউন্সিল তালিকা নিয়ে নেতা কর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করলেও শেষ মুহূর্তে শীর্ষ নেতারা তাদের সিদ্ধান্তে অটুট থাকে কী না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে কারো কারো মধ্যে। তারা বলছেন, দলের দুঃসময়ের সঙ্গীরা এখন হাইব্রিডদের কাছে জিন্মি হয়ে গেছে।