ভূমিদস্যু জামায়াত নেতা কাশেমের অবৈধ দখলে সরকারি পরিত্যক্ত জমি!

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২

 

        “তিনি একজন সরকারি কর্মচারীও বটে”

এন আলম আজাদ কক্সবাজার

বহু মাত্রিক অপরাধের আবাসস্হল টেকনাফ। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বাহারছড়াস্থ জাহাজ পুরা মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে আবুল কাশেম নামের এক ভূমিদস্যু ও জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে।

তার ছেলে ইরফান ও হিরো প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে সরকারি পরিত্যক্ত জমি দখল করছে বলে এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়।
গণ মাধ্যমে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্হানীয় সচেতন মহলের অধিকাংশ লোকের মতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শিলখালী মৌজার বিএস ১ নং খাস খতিয়ানের ৬৬০৫,৬৭০০ দাগের ৪০ শতক সরকারি পরিত্যক্ত খাস জমি অবৈধভাবে দখল করছে ভূমিদস্যু আবুল কাশেম ও তার দুই ছেলে ইরফান ও হিরো। জাহাজ পুরা মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন পরিত্যক্ত এই সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে দোকান নির্মাণ করছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলারও সাহস পাচ্ছেনা। মুখ খুললেই মিথ্যা মামলা ও শারীরিক নির্যাতন সহ জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। তাই ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস করেনা। নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে, জামায়াত নেতা আবুল কাশেমের পুত্র ইরফান বাহারছড়া যুবদলের একজন ক্যাডার। ২০১৩ সালে জামায়াত বিএনপির হরতাল নামের জ্বালাও পোড়াও ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম করলে পুলিশ সেই সময় জামায়াত বিএনপির সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।যার জিআর নং ৬৩২/১৩।ঐ মামলায় ৫ নং আসামি জামায়াতের শীর্ষ নেতা আবুল কাশের পুত্র মোঃ ইরফান। বর্তমানে সরকারি জমি দখল থেকে শুরু সকল অপকর্মে জড়িত ইরফান। এবিষয়ে টেকনাফের এসিল্যান্ড (ভারপ্রাপ্ত ইউএনও) ইরফানুল হক চৌধুরী জানান, সরকারি পরিত্যক্ত জমি অবৈধভাবে দখল করা যাবেনা। তারা যতই প্রভাবশালী হউক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী  ব্যবস্হা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য যে, বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পোস্ট মাস্টার আবুল কাশেম। পোস্ট অফিসে ই-সেন্টারে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষে ডাক বিভাগ কর্তৃক  ল্যাপটপ, লেজার প্রিন্টার, রঙ্গিন প্রিন্টার, স্ক্যানার, মডেম, কিবোর্ড, মাউসসহ কয়েক লাখ টাকার সরঞ্জাম প্রদান করা হয়েছিল। আবুল কাশেম তা পোস্ট অফিসে ব্যবহার না করে তার ছেলে ইরফানকে দিয়ে জাহাজপুরা মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন একটি ব্যবসা প্রতিষ্টান খুলে বসেন। ঐ ব্যবসা প্রতিষ্টানটি গত ২৯ আগস্ট আগুন লেগে পুঁড়ে গিয়ে পোস্ট অফিসের সকল সরঞ্জাম পুড়ে ছাঁই হয়ে যায় বলে স্হানীয়রা জানিয়েছেন।

টেকনাফ উপজেলার উপকূলীয় বাহারছড়া জাহাজ পুরা পোষ্ট অফিসে পোস্ট ই-সেন্টারের সেবার মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার প্রিন্টিং, কম্পিউটার কম্পোজ, ছবি প্রিন্ট, স্ক্যানিং, ই-লার্নিং, ই-মেইল, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ইন্টারনেটে পরীক্ষা ফলাফল প্রিন্ট, চাকুরির আবেদন, কৃষি তথ্য প্রদান, দেশ-বিদেশে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলা সহ বিভিন্ন ধরণের ডিজিটাল সেবা।
এসব নামে থাকলেও কার্যক্রমের কিছুই নেই। পোস্ট মাষ্টার আবুল কাশেম নামে থাকলেও কোন দায়িত্ব পালন করেনা বলে এমন গুরুতর অভিযোগ সহ স্থানীয়দের দাবি দীর্ঘদিন ধরে পোস্ট অফিসটি ও বন্ধ রয়েছে।

পোস্ট মাস্টার থাকলেও কোনদিন তাকে দেখা যায়নি এমনকি অফিসেও দেখেনি স্থানীয়রা। সারা দেশে ডাক বিভাগকে ডিজিটাল করা হলেও বাহারছড়ার পোস্ট অফিসেের চিত্র উল্টো।এখানকার মানুষ এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পোস্ট মাস্টার আবুল কাশেমের ছেলে ইরফানের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন পোস্ট অফিসের পার্শ্বে আরও একটি ব্যবসা প্রতিষ্টান রয়েছে।বর্তমানে সে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অফিসের সরঞ্জাম ব্যবহার করছে বলে জানা যায়।পোস্ট অফিসে আগুন লাগা এবং সব সরঙ্জাম পু্ঁড়ে যাওয়ার পেছনেও পিতা পুত্রের হাত রয়েছে বলে স্হানীয়দের দাবি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাহির থেকে তালা ঝুলানো জাহাজপুরা পোস্ট অফিসটি। একটি কক্ষে কিছু কাগজপত্র দেখা যাচ্ছে সেগুলোও আগুনে পু্ঁড়ে গেছে।

এবিষয়ে জাহাজপুরা পোস্ট মাস্টার আবুল কাশেমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।