আ.লীগের ২১ তম সম্মেলন কাল: আসছে ব্যাপক রদবদল

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯

আল-আমিন এম তাওহীদ: নানা আয়োজন আর উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ‘‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’’ এর ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে (২০-২১ ডিসেম্বর) শুক্রবার ও শনিবার। বৃহত্তর দলটির বর্তমানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা ‘শেখ হাসিনা’ তার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে।

সংগঠনটির এবছর স্লোগান থাকছে ‘‘ আমরাই তো বাংলাদেশ’’ ধারণ করে কাল শুক্রবার ও শনিবার দুইদিন চলবে সম্মেলন।

ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামিকাল শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টায় সম্মলেনের শুভ উদ্বোধন করবেন সংগঠনটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দ্বিতীয় কাউন্সিল অধিবেশন শনবিার সকাল ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।

জানাযায়, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে বড় পদে রদবদল আসবে না। সংগঠনটির বর্তমানে সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি ফের আওয়ামী লীগের সভাপতি হচ্ছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে আসতে পারে সাধারণ সম্পাদক পদে রদবদল, আবার কেউ কেউ বলছেন সাধারণ সম্পাদক পদেও ওবায়দুল কাদেরই থাকারও একটা সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।

সংগঠনটির দীর্ঘ ৩ বছর ধরে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।এরআগে তিনি খুব অসুস্থ ছিলেন সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে দেশে ফিরেন। দলটির সভাপতিমন্ডলীতে আসবে ব্যাপক পরিবর্তন। আর এখানে নতুনদের আগমন ঘটবে এবং ক্লিন ইমেজের নেতাদের এসব পদে আনা হবে বলেও জানাযায়।

এ ব্যাপারে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি দ্বিতীয়বার দলের সাধারণ সম্পাদক থাকব কিনা, তা নেত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। আমি এবার নিজে প্রার্থী হব না। নেত্রী যদি চায় তাহলে আবার দায়িত্ব দেবেন, না চাইলে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেবেন।

বৃহত্তর সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইতিহাসে দেখাযায়, পর পর দুইবার সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করার একাধিক নজির রয়েছে। মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ বার এ দায়িত্ব পালন করেছেন। তাজউদ্দীন আহমদ ৩ বার দলের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। জিল্লুর রহমান ৪ বার এ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও আবদুর রাজ্জাক দুইবারের মতো দায়িত্বে ছিলেন। সর্বশেষে এরপর সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দুই দফায় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

এদিকে, সংগঠনের জাতীয় কাউন্সিলের আগে জেলা ও উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ে কাজ শুরু করলেও তা এখনও শেষ হয়নি। যার কারনে অর্ধেকেরও বেশি সাংগঠনিক জেলা-উপজেলা কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ রেখেই জাতীয় সম্মেলন সম্পন্ন করতে হচ্ছে। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বলছেন, এটা চলমান প্রক্রিয়া খুব দ্রুতই শেষ হবে। জাতীয় সম্মেলনের পরও তৃণমূলের মাঠ গুছানো কাজ চালিয়ে যাবেন।

অপরদিকে, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ উৎসব বিরাজমান। মঞ্চ ও সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সাজানো হয়েছে নানা রুপে। মহানগর-জেলা, উপজেলা-থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সম্মেলন স্থলের আশপাশ এলাকায় ইতিমধ্যেই এসে উপস্থিত হয়েছেন। এবারের সম্মেলনে কাউন্সিলর ও সমসংখ্যক ডেলিগেটসহ প্রায় ৫০ হাজার অতিথি উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যায়।