আরব নিউজের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মডেল মসজিদ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১

সীমান্তবাংলা ডেক্স : ইসলামের প্রচার, প্রসার ও উন্নয়নে দেশব্যাপী যে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছে সরকার, তার মধ্যে মুজিববর্ষেই ১৭০টি মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবে সরকার। এই মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে ১৭০টি নতুন মসজিদ নির্মাণ করছে সরকার।

প্রকল্পের ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণে এক বিলিয়ন ডলার (সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা প্রায়) ব্যয় করবে সরকার।

মডেল মসজিদ প্রকল্পের (এমএমপি) উপ-প্রকল্প পরিচালক শফিকুর রহমান তালুকদার আরব নিউজকে বলেন, এটি বিশ্বের যেকোনো সরকারের পক্ষে বৃহত্তম মসজিদ প্রকল্প, যেখানে একই সময়ে এত বিপুল সংখ্যক মসজিদ নির্মিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শুরু হয়েছিল, যা স্বাধীনতারও ৫০ বছরের সঙ্গে মিলেছে। এই উদ্যোগে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হবে।

শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার এক বছর পর তিনি প্রেসিডেন্ট হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনা বিদ্রোহে নিহত হওয়ার আগে তিন বছর দেশ শাসন করেন। তার দুই কন্যার মধ্যে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রধান হন এবং ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ১৫ আগস্টকে সরকারি ছুটি ও জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেন। জাতির জনকের জন্ম শতবর্ষপূর্তি উদযাপনের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে দেশে তিন লাখের বেশি মসজিদ রয়েছে। এই সংস্থা ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন মুজিবুর রহমান। তারা দেশে ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষা এবং প্রচার করতে কাজ করে।

১৭০টি মসজিদের মধ্যে রমজানকে সামনে রেখে এপ্রিলে ৫০টি, সেপ্টেম্বরে ৬০টি এবং বাকিগুলো ডিসেম্বরে উদ্বোধন করা হবে।

এই প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রতিটি জেলা সদর ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে।

এ-ক্যাটাগরিতে ৬৪টি জেলা শহরে এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৬৯টি চারতলা মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। এই মসজিদগুলোর প্রতি ফ্লোরের আয়তন ২ হাজার ৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটার।

বি-ক্যাটাগরিতে উপজেলা পর্যায়ে ৪৭৫টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলোর প্রতি ফ্লোরের আয়তন ১ হাজার ৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটার।

সি-ক্যাটাগরিতে উপকূলীয় এলাকায় ১৬টি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলোর প্রতি ফ্লোরের আয়তন ২ হাজার ৫২ দশমিক ১২ বর্গমিটার। উপকূলীয় এলাকার মসজিদগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নিচতলা ফাঁকা থাকবে।

জেলা সদর ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নির্মাণাধীন মসজিদগুলোতে একসঙ্গে ১২০০ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। অপরদিকে উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকার মডেল মসজিদগুলোতে একসঙ্গে ৯০০ মানুষের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে।

০৯ফেব্রুয়ারি/একে/এডমিন/ইবনে

সংবাদটি শেয়ার করুন