২৪ লাখ টাকা আত্নসাত করার কু-মানসেই অপহরণের নাটক করেছিলেন ব্যাংকার হামিদ হোসেন!
এম.এ.রহমান সীমান্ত,উখিয়া,কক্সবাজারঃ
উখিয়ার বালুখালীর এক ব্যবসায়ীর ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে নিজের অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন ব্যাংকার। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক (এজেন্ট ব্যাংকিং) শাখার ক্যাশিয়ার হামিদ হোসেন এ কাণ্ড করেন। তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনা স্বীকার করেছেন।
জানা যায়, উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী এলাকার মো. আয়ুবের ছেলে ব্যবসায়ী মো. ইকবাল ব্যাংকে রাখার জন্য ৩০ জুন ক্যাশিয়ার হামিদ হোসেনকে ২৪ লাখ টাকা দেয়। হামিদ এ টাকা ব্যাংকে না দিয়ে গাঁ ঢাকা দেন। তিন দিন পর শুক্রবার(২জুলাই)
রাত ১১টার দিকে বাড়ি ফেরেন হামিদ। জানান, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। ২ জুলাই অপহরণকারীরা তাঁকে বালুখালী ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মরা আমগাছতলায় রেখে যায়। অপহরণকারীরা তাঁর থেকে লেনদেনের প্রায় ২০ লাখ টাকা লুট করে নিয়েছে বলেও প্রচার করতে থাকেন।
এদিকে, হামিদ হোসেন নিখোঁজের দিনই ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়িতে সাড়ে ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের করেন ব্যবসায়ী মো. ইকবাল। হামিদ ফিরে এসেছে শুনে গতকাল শনিবার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে হামিদকে আটক করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জাহাঙ্গীর নামের একজনের বাড়ি থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করে ঘুমধুম ফাঁড়ি পুলিশ। এই উদ্ধার অভিযানে হোয়াইক্যং ফাঁড়ির পুলিশের একটি দলও অংশ নেয়।
ঘুমধুম ফাঁড়ি পুলিশের এসআই আল আমিন বলেন, ইকবাল একজন ফার্মেসি ব্যবসায়ী। তাঁর সঙ্গে হামিদের আগে থেকে পরিচয় ছিল। সেই সুবাদে ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য সাড়ে ২৪ লাখ টাকা দেয়। হামিদ অপহরণের নাটক সাজিয়ে টাকাগুলো আত্মসাৎ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকাও উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
হোয়াইক্যং ফাঁড়ি পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান জানান, হামিদের পরিচিত জাহাঙ্গীর নামের একজনের বাড়ি থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হামিদ টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়া গ্রামের খাইরুল আলমের ছেলে।
সীমান্তবাংলা/রোহিত/০৪ জুলাই