সেন্টমার্টিন নৌ রুটে পর্যটন মৌসুমে বন্ধ থাকছে জাহাজ চলাচল। 

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২২

 

ডেস্ক রিপোর্ট ;
কক্সবাজার জেলার টেকনাফে অবস্থিত দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। দ্বীপের পাথুরে সৈকত, নীল জলরাশি, গাংচিল ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে যে কারনে এ দ্বীপটি পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত। আর এই দ্বীপে যাওয়ার একমাত্র পহ্না নৌরুট।

গতো ৬ মাস ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে বন্ধ রয়েছে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি বছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত এ নৌরুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার।

সী ক্রুজ অপারেটরস্ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়াব) এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে জাহাজ সরাসরি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যেতে পারবে। নাব্যতা সংকটের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ নৌরুট দিয়ে কোনো জাহাজ চলাচল করবে না। আপাতত আগামী ৬ অক্টোবর থেকে প্রাথমিকভাবে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে কর্ণফুলী জাহাজ রওনা হবে।

পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন, চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল করে ১০টি। এসব জাহাজে করে প্রতিদিন ৫ হাজারের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন সেন্টমার্টিনে, তবে এবার নাব্যতা সংকটের কারণে আপাতত বন্ধ থাকছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল। শুধুমাত্র বঙ্গোপসাগর হয়ে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন আর চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিনে দুটি জাহাজ চলাচল করবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নাব্যতা নিয়ে ঝামেলা রয়েছে। নাব্যতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এ জন্য টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে এই মুহূর্তে জাহাজ চলতে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলকারী কর্ণফুলী জাহাজটির কর্তৃপক্ষ শুধু আবেদন করেছে। তাদের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটেও জাহাজ চলাচলের অনুমতি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন জাহাজ মালিকদের সংগঠন।