নরসিংদীতে বাঙ্গির বাম্পার ফলন

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৪

মো: খায়রুল ইসলামঃ নরসিংদীর রায়পুরায় বিস্তীর্ণ চরজুড়ে যেদিকেই চোখ যায় সেদিকেই কেবল দিগন্ত জোড়া সবুজ-হলুদ বাঙ্গির সমারোহ। বাঙ্গির আগাম ফলন ও দামে সন্তুষ্ট চাষিরা। স্থানীয় কৃষকেরা কম পুঁজিতে অধিক ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় প্রতি বছরই এখানকার চাষিরা বাঙ্গি চাষ করেন। বাঙ্গির বাম্পার ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। জেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে এখনো বাঙ্গির জমজমাট হাট না বসলেও কিছু কিছু বাজারে বিক্রি চোখে পড়েছে। খুচরা বিক্রেতারা এগুলো প্রতি পিস ১৫০ থেকে ২০০ টাকা মূল্যে বিক্রি করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চরের দোঁআশ মাটিতে দুই জাতের বাঙ্গির চাষ হয়। বেলে ও এঁদেল। তবে বেশি আবাদ হয়েছে বেলে বাঙ্গি। এ জাতের বাঙ্গির খোসা পাতলা, শাঁস নরম ও মিষ্টি কিছুটা কম। এঁদেল বাঙ্গি শাঁস শক্ত তবে বেশ মিষ্টি। এ ছাড়াও বিস্তীর্ণ এ চরে বাঙ্গির পাশাপাশি মরিচ ও মিষ্টি কুমড়াও প্রচুর চাষ হয়। জমি থেকে কৃষানিরা কাঁচা ও পাকা বাঙ্গি তোলে জমিতে সারিবদ্ধ করে রাখেন। সেখান থেকে নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাইকাররা বাঙ্গি কিনে রাজধানীসহ জেলা ও উপজেলা সদরের বাজারে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বাঙ্গি বিক্রি করেন। কৃষক ইসমাইল জানান, ৫৫ শতক জমিতে বাঙ্গি আবাদে খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। বিক্রি করতে পারবেন দেড় লাখ টাকা। এতে তার খরচ বাদে বেশ আয় হবে। জমিতেই পাইকারি প্রতি পিস বাঙ্গি ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলে প্রায় ৩৩ হেক্টর জমিতে বাঙ্গির আবাদ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৭০০ মেট্রিক টন বাঙ্গি পাওয়া যাবে। এতে শর্করা, ভিটামিন ও মিনারেলস থাকায় বাজারেও বাঙ্গির ভালো চাহিদা রয়েছে। এছাড়া কম সুগার থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর বাঙ্গি চাষেদের নিয়মিত উৎসাহ এবং পরামর্শ দিচ্ছে।