সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে চকরিয়ায় সংঘর্ষ, নিহত ১

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৩

 

প্রখ্যাত আলেম,জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের চকরিয়ায় দুঃপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে পুলিশসহ আরও ১৫ ব্যক্তি।

(১৫ আগস্ট) মঙ্গলবার বিকাল চারটার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বায়তুশরফ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সাথে সাথেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরে থমথমে বিরাজ করছে। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম ফোরকানুল ইসলাম (৫৫)। তিনি চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে আবদুল বারী পাড়ার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে এবং পেশায় একজন কৃষক।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদ, এসআই রাজিব, এসআই মামুন, কনেষ্টবল আবদুর রউফ ও সাগর। তবে তাৎক্ষণিক আহত পথচারীদের নাম পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, মঙ্গলবার বিকাল চারটার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে পুরাতন জামে মসজিদে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পরপর তিনটি গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় গায়েবানা জানাজা শেষে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করার চেষ্টা করে। এ সময় সড়কে দাঁড়ানো অবস্থায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে জামায়াত শিবিরের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। এক সময় পুলিশ-জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে ফোরকানুল ইসলাম (৫৫) নামে একব্যক্তি মারা যায় এবং গুলিবিদ্ধ হয় আরো প্রায় ১০/১২
জন পথচারী। আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতাল ও জমজম হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এতে আশঙ্কাজনক আরো ৭জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

নিহত ফোরকানুল ইসলামের স্বজনরা জানিয়েছেন, ফোরকান জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুঃপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ঘটনার সময় অস্ত্রধারী মুখোশ পরিহিত কিছু লোক গোলাগুলি করছে বলে জানান স্বজনরা। ফোরকানুল ইসলাম পেশায় একজন কৃষিজীবি বলে জানান তার স্বজনরা।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদ জানান, ঘটনার সময় চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভণ দত্তসহ আমরা লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে চাল বিতরণ করছিলান। ওইসময় জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা পৌরসভার চিরিঙ্গা নামক স্থানে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা পড়ছিলো। জানাজা শেষে মিছিল করার চেষ্টা করে তারা। ওই সময় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশের গাড়ি দেখে উত্তেজিত হয়ে গাড়ির উপর ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মীরা পুলিশের উপস্থিতি দেখে তাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ও পুলিশের গাড়ি ভাঙ্চুর করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড পাকা গুলি ছুড়ে। জানাজায় আগত মুসিল্লীরা দিক-বেদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তান করা হয়নি। তবে কার গুলিতে পথচারী নিহত হয়েছেন তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদ।