সরকারী গোয়েন্দা সংস্হার লোক পরিচয় দিয়ে কন্ট্রাক্টর মিটুর নারী কেলেংকারীসহ যতো অপকর্ম

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এক কন্ট্রাক্টরের যৌন লিপ্সার শিকার স্থানীয় একাধিক নারীর সোনার সংসার আজ তছনছ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি স্থানীয় নারীদের সেই কন্ট্রাক্টরের দেওয়া কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অনেক নারী চাকরি হারিয়েছেন বলেও জানা গেছে।

ওই কন্ট্রাক্টর নিজেকে পরিচয় দেন ইঞ্জিনিয়ার। আবার কখনো বিসিএস ক্যাডার, কখনো বা শৃংখলা বাহিনীর সোর্স। মাঝে মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকার মামা, পৃথিবী বিখ্যাত চিত্রশিল্পীর নাতি পরিচয় দিতেও শুনেছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ। তবে অনেকের কাছে সে মিটু ইঞ্জিনিয়ার নামে পরিচিত। দুই সন্তানের জনক এই ব্যক্তির বাড়ি নড়াইল জেলায় বলে জানা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অভিযোগ উঠা এই মিটু সম্পর্কে মোঃ আব্দুল হামিদ খান নামের একজন লিখেন ‘সে শৃংখলা বাহিনীতে কর্মরত ছিল কিন্তু নারী কেলেঙ্কারির অপরাধে চাকরীচ্যুত। সোনার পাড়ায়ও কয়েকজনকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল, আমি শুনে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। পরে সটকে পড়েছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সাহায্য প্রদানের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশী বিভিন্ন সাহায্যকারী সংস্থা রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করেন। সেই সুযোগে নড়াইলের এ ইঞ্জিনিয়ার মিটু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ শুরু করে। সময়ের সাথে সাথে এলাকার অনেকের সাথে পরিচয় হয়। সম্পর্ক হয় বিভিন্ন সাহায্যকারী সংস্থার বড় বড় কর্তাদের সাথে। সে সুযোগে স্থানীয় অনেক নারীকে চাকরি দেওয়া ও চাকরিচ্যূত করার কথা বলে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এনজিও শীর্ষকর্তাদের অনুরোধ করে কিংবা বিভিন্নভাবে চাপে ফেলে অনেকে চাকরিচ্যূত করেছে বলে জানা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীর এক নিকট আত্মীয় জানায়, মিটু নারীদের চাকরিচ্যূত করার পর বিভিন্ন জায়গায় উল্লাস করে বলে- ‘আমার কথা না শুনলে চাকরিচ্যূত হতে হয়। আমি অনেক মেয়েকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছি।’

মিটুর স্ত্রীও ফোনে স্বামীর বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড স্বীকার করলেও নারীদের দিকে তিনি অভিযোগের তীর নিক্ষেপ করে বলেন, আমার স্বামীর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য তারা আমার স্বামীর সাথে সঙ্গ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত মিটুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখন কারো সাথে আমার যোগাযোগ নেই। ভূক্তভোগী এক নারীর নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, সে আমাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে আমার সব টাকা পয়সা নস্ট করেছে। আমার পরিবারটা পর্যন্ত ভেঙ্গে যেতে চেয়েছিলো। এখন আমি আমার পরিবার নিয়ে সুখে আছি।

( সীমান্তবাংলা/ ২ জানুয়ারী ২০২১)