আমাদের জন্য চাকর হিসেবে রাখা হয়েছে তোমাদের || ক্যাম্পে কর্মরত বাংলাদেশীদের উদ্দ্যেশ্যে রোহিঙ্গারা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২১

মিয়ানমারে নির্যাতনের স্বীকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া যেসব রোহিঙ্গারা সাহায্যের জন্য এক সময় হাত পেতে থাকা রোহিঙ্গারা এখন প্রশাসনের কথাও ঠিকমত শুনতে চান না। বরং তারা অনেক সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত কাজকর্ম করেন। দিন উশৃংখলতার সীমা অতিক্রম করছে তারা। কথায় কথায় ক্যাম্পে কর্মরত বেশিরভাগ এনজিও সংস্থার কর্মকর্তা কর্চারীদের উপর চড়াও হয় এসব রোহিঙ্গারা। এদের জন্য সঠিক কোন আইন না থাকায় তাৎক্ষনিক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া যায়না এতে চরম অসহায় পড়ছে খোদ প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এই সুযোগে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে রোহিঙ্গারা।
লেদা রেজিষ্ট্রাট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত প্রশাসনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন,আমি এখানে চাকরী শুরু করেছি ৯ মাসের মত হচ্ছে। প্রথম দিকের রোহিঙ্গাদের আচার আচরণ আর বর্তমান অবস্থার মধ্যে অনেক পরিবর্তন তারা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে সেটা স্বীকার করতেই হবে। এই ক্যাম্পে আগে রেজিষ্ট্রাট রোহিঙ্গারা থাকতো এখন ২০১৭ সালে ঢলের সাথে আসা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা আসাতে ক্যাম্প নিয়ন্ত্রন খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। এখানে প্রতি নিয়ত ছোটখাটো কিছু সমস্যা লেগেই থাকে যেমন,গত সপ্তাহে এক রোহিঙ্গা যুবক সে সরকারি কাজে নিয়োজিত লেবারদের মারধর করেছে আমি গিয়ে তাকে ধমক দিয়ে বারণ করলেও সেই রোহিঙ্গা যুবক নাকি কৌশলে ঠিকাদারকে বলেছে তার আন্ডারে কিছু লেবার নিতে হবে যাদের তার ইচ্ছামত বেতন ভাতা দেবে। পরে তাকে ডেকে পাঠালোও সে আর অফিসে আসেনি বরং বাইরে থেকে অনেক সমস্যা তৈরি করছে। আর আগে ৫/৬ জন নারী টাকার ভাগ নিয়ে মারামারি দিলে তাদের কে অফিসে আনলে তারা আমাদের সামনে চরম খারাপ আচরণ করে শতচেস্টা করেও তাদের থামানো যায়নি। এমনকি আমাদের কোন কথাই তারা শুনতে নারাজ বরং তাদের ইচ্ছামতই চলে কেউ প্রশাসনকে মানতে চায়না। বিষয়টি নিয়ে আমি আইনশৃংখলা বাহিনির সিনিয়র কর্মকর্তার সাথে আলাপ করলে তিনিও হতাশ হয়ে বলেন তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন আইন না থাকায় তাৎক্ষনিক কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এপিবিএনএর সদস্য রাসেল জানান,আমরা এখানে অনেক দিন ধরে কাজ করছি প্রথম দিকে রোহিঙ্গাদের আচরণ আর বর্তমান আচরণের মধ্যে অনেক পার্থক্য তারাএখন কাউকে মানতে চায় না। প্রথম দিকে আমরা কিছু বল্লে সেটা তাৎক্ষনিক শুনতো বা পালন করতো এখন কেউ কথা শুনেনা বরং তারা অল্প কথাতেই রেগে যায় যখন তখন মেজাজ দেখায়। আবার সংঙ্গবন্ধ হয়ে ঝগড়া করতে আসে। এমনকি রোহিঙ্গারা এখন অস্ত্র দেখালো ভয় পায় না। এছাড়া রোহিঙ্গাদের হাতে এখন নগদ টাকার অভাব নেই তাই তারা বেশি বেপরোয়া হয়ে গেছে। তার সাথে কাজ করা আরেক পুলিশ সদস্য জানান,মাঝে মধ্যে মনে হয় রোহিঙ্গা এদেশে আশ্রয়ের জন্য নয় অন্য কিছুর জন্য এসেছে। মাঝে মাঝে এসব রোহিঙ্গাদের এমনও বলতে শুনেছি তাদের সেবা করার জন্যই নাকি বাংলাদেশীদের চাকরী দেয়া হয়েছে। তাদের আচরন দেখলে মনে হয় তারা এখন আশ্রিত নয় বরং আমাদের উপর শাষন করতে এসেছে। আমি মনে করি সরকার রোহিঙ্গাদের যে পরিমান প্রশ্রয় দিয়ে ফেলছে এতে সামনে বিপদ হতে পারে। তাদের নিয়ন্ত্রনের জন্য ক্যাম্পেই জেলখানা সহ কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এছাড়া যে কোন ছোট বড় অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আবার কিছু এনজিও কর্মকর্তারা আছে তারা সব সময় রোহিঙ্গাদের পক্ষে অবস্থান নেয় তাদেরকেও নিয়ন্ত্রনে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। নাসরিন নামের এক এনজিও কর্মী জানান, আমাদের সাথে ১০/১২ জন রোহিঙ্গা নারীও একই এনজিওতে কাজ করে। সেখানে নানান কাজে রোহিঙ্গা মেয়েরা উল্টো আমাদের শাষন করতে চায়। এছাড়া কাজ করতে গিয়ে ছোটখাট কোন সমস্যা হলে তারা ফোন করে তাদের পুরুষ রোহিঙ্গা,মাঝিদের নিয়ে আসে এবং আমাদের সাথে খুব খারাপ আচরণ করে। রোহিঙ্গারা কথায় কথায় বলে তাদের কারনে আমরা চাকরী করতে পারছি তাই তাদের সাথে বেশি বাড়াবাড়ি না করতে বলে। আর আমি প্রশাসনের কাছে বা এনজিও কর্মকর্তাদের বিচার দিলেও তারা কিছুই করেনা তাই রোহিঙ্গারা দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ ব্যপারে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন,রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিষয়ে এখন বেশ কয়েক টি দায়িত্বশীল প্রতিষ্টান কাজ করছে। আমার জানা মতে সেখানে কোন সমস্যা দেখা দিলেও তারা সঠিক ভাবে দায়িত্বপালন করে। তবে এটা ঠিক রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রনের আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

সুত্রঃ কক্স৭১

(সীমান্তবাংলা নিউজ ডেস্ক/ ১ জানুয়ারী ২০২১)