লিংকরোডে জমি দখল করে উল্টো ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানি

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২

শহিদুল করিম শহিদঃ

কক্সবাজার সদর উপজেলার লিংকরোড বিসিক এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিয়ে রাতের আঁধারে জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। দখলদাররা জমি দখল করে ক্ষান্ত হননি, উল্টো থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে জমির প্রকৃত মালিকদের হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী জমির মালিকরা। অবৈধভাবে জমি দখল ঠেকাতে ও ন্যায় বিচারের দাবীতে গতকাল সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী জমির প্রকৃত মালিকরা।
সাংবাদিক সম্মেলনে জমির প্রকৃত মালিক সাবেক ইউপি মেম্বার আকবর আহমদ জানান, তাদের পিতা মোজাহের আহমদ মারা গেলে পৈত্রিক সম্পদের মালিক হন ৫ ভাই ও দুই বোন। এর মধ্যে দুই ভাই যথাক্রমে জাফর আহমদ ও মকবুল আহমদ মারা যাওয়ার পর তিন ভাই ও দুই বোন বেঁচে আছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মৃত মোজাহের আহমদের চার পুত্র ও দুই কন্যাকে বঞ্চিত করে শুধুমাত্র এক পুত্র মৃত জাফর আলমের স্ত্রী খতিজা বেগম অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিয়ে রাতের আঁধারে জমি দখল করেন। শুধু তাই নয়, দিন দিন দখল অব্যাহত রেখে পুরো জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। দখলে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে উল্টো জমির মালিকদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানি করছেন। একইসাথে সন্ত্রাসী দিয়ে মারধর ও মিথ্যা মামলা করে ফাঁসিয়ে দিবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন। সাবেক ইউপি মেম্বার আকবর আহমদ আরও জানান, তারা ভাই-বোন সাত জনের মধ্যে মৃত জাফর আলমের ওয়ারিশরা সব জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। তারা কোন জমি পাবেনা। কিন্তু তারা জমি না পেলেও ভাইয়ের ছেলে মেয়েদের তিনি নিজের অংশ থেকে জমি দেবেন।
জমির আরেকজন অংশীদার খায়ের আহমদ বলেন, ‘৫ ভাই ও ২ বোনের জমি তো আর এক ভাই সব পাবে না। আইনগতভাবে ওয়ারিশ হিসেবে যার যতটুকু অংশ পাওয়ার ততটুকুই পাবে। কিন্তু একজন কোন বিচার-শালিশ আইন-কানুন কিছুই না মেনে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে সন্ত্রাসী নিয়ে জমি দখল অব্যাহত রেখেছেন।
আরেক অংশীদার আনু আহমদ বলেন, সন্ত্রাসী নিয়ে দিনে-রাতে জমি দখল অব্যাহত রেখেছে, এর উপর উল্টো আমাদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে অবৈধ দখলদার খতিজা বেগম। বিভিন্নভাবে অপপ্রচারও চালাচ্ছেন তারা।
সাংবাদিক সম্মেলনে অর্ধশতাধিক ওয়ারিশ উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিহার করে ন্যায় বিচার দাবী করেছেন। তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অপরদিকে অভিযুক্ত খতিজা বেগম জমিটি তার স্বামীর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি দাবি করলেও পরে তিনি স্বীকার করেন, জমিটি সকল অংশীদাররা পাবেন। তবে তিনি একেবারে এটি নিয়ে নেননি, নিজের খরচ আর ছেলেদের পড়াশোনার খরচ চালাতে বাসা নির্মাণ করছেন বলে দাবী করেন।

সীমান্তবাংলা/তম/১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২