মহেশখালীতে সত্তর বছর বয়সী মহিলাকে পিটিয়েছে প্রতিবেশী

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২২

মহেশখালী প্রতিনিধিঃ

মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ছামিরা ঘোনা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক বয়োজ্যেষ্ঠ মহিলার উপর প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় তিনি গুরুতর আহত হন।

গত ১৮ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) রাত ৮.০০ টার দিকে প্রতিবেশি আব্দুল মজিদ ও আলম শাইরের নেতৃত্বে এ হামলা হলেও জানাজানি হয় ২২ জানুয়ারী। বৃদ্ধ মহিলাটি ব্যাংকার নাজেমুল হকের বোন মোবাশ্বেরা বেগম। বয়স আনুমানিক সত্তরের কাছাকাছি। প্রথমে তাকে কালারমারছড়া আল হামরা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মহেশখালী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে নিজগৃহে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে। এসময় তার বাড়ীর টিনের ঘেরা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগী।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘকাল থেকে প্রতিবেশী মহিলা আলম শাইরের পরিবার জোরপূর্বক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তাদের জমি দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বিচার মানতে নারাজ তিনি। অনেক সময় উপজেলা ভূমি কার্যালয় কর্তৃক ১৪৪ ধারা দিয়েও ধমিয়ে রাখা যায়নি তাদের। তারা সবসময় আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে আসছে। জায়গা বিষয়ে আলম শাইরের সাথে সাথে কথা বললে তিনি সম্পূর্ণ অংশ তার বলে দাবি করেন।

এবিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম খরিদা মালিক ব্যাংকার নাজেমুল হকের সাথে। তিনি জানান, বিএস খতিয়ান ১২৮নং মুলে প্রকৃত জায়গার মালিক মৃত আব্দুল হালিম। তার মৃত্যুর পর মরহুমের দুয়েকজন ওয়ারিশ তাদের প্রাপ্ত অংশ হতে অধিকাংশ জায়গা বিক্রি করে দেন। পরবর্তীতে স্ত্রী আমেনা খাতুন ও আবু জাফরের অবিক্রিত অংশ ১৩.৫৪ কড়া জমি ভুক্তভোগী মোবাশ্বেরা বেগমের বোন শওকত আরাকে বিক্রি করলে সে সৃজিত বিএস ১৪৬৮ নং খতিয়ান সৃজন করেন। পরর্বর্তীতে ১৪৬৮ নং সৃজিত বিএস খতিয়ান মুলে ব্যাংকার নাজেমুল হককে বিক্রি করে জমির দখল বুঝিয়ে দেন শওকত আরা বেগম।

অপরদিকে আব্দুল হালিমের আরেক ওয়ারিশ মরিয়ম খাতুন মৃত্যুবরণ করিলে মেয়ে থেকে মাতা আমেনা খাতুন জমি প্রাপ্ত হন। কিন্তু মাতা আমেনা খাতুনকে ওয়ারিশ থেকে বাদ দিয়ে মরিয়ম খাতুনের পুত্র ও কন্যারা উক্ত খতিয়ান থেকে প্রাপ্ত সম্পূর্ণ অংশ তাদের খালা আলম শাইরকে বিক্রি করলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এসময় বাদ দেয়া ওয়ারিশের একটি তালিকাও দেখান জমির মালিক ব্যাংকার নাজমুল হক।

তিনি বলেন, অন্যায় ও জোরপূর্বক আমার জমির প্রয়োজন নেই। খরিদাসূত্রে আমি প্রকৃত মালিক বিধায় কাগজপত্রের ভিত্তিতে আমার প্রাপ্ত অংশ আমি চাই। ইতিমধ্যে সংবাদকর্মীদের মিথ্যা, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে আমার উপর সন্ত্রাসের তকমা লাগিয়ে একাধিক মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আসছে আলম শাইরের পরিবার।

এবিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি বলেন, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সীমান্তবাংলা/রম/২২ জানুয়ারি ২০২২