মনোহরদীতে স্ত্রীর সঙ্গে মিল করিয়ে দিতে যুবককে ডেকে নির্যাতন চেয়ারম্যানের, ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩

 

মো: খায়রুল ইসলাম :

নরসিংদীর মনোহরদীতে চেয়ারম্যানের নিজ কার্যালয়ে ডেকে এনে এক যুবককে অমানবিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।

নির্যাতনের শিকার মো. মহসিনের (৩০) বাড়ি মনোহরদী উপজেলা একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের কামার আলগী গ্রামে। তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম।

সম্প্রতি মনোহরদী উপজেলার একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোল্লা রফিকুল ইসলাম ফারুকের নেতৃত্বে তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটান। এ বিষয়ে মহসিনের মা হাজেরা বেগম বাদী হয়ে নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন।

মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মহসিন ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি একই এলাকায় মেজবাহ উদ্দিনের মেয়ে পারভিনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এক পর্যায়ে মহসিনের বউ তার বাড়িতে চলে যান। পরে মহসিনের স্ত্রী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দাবি করলে চেয়ারম্যান দুই পক্ষকে ডেকে মীমাংসা করার জন্য ডাকেন।

মীমাংসার দিন মহসীনের স্ত্রী পারভীন ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় উপস্থিত না হয়ে চেয়ারম্যানকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে মহসীনকে চেয়ারম্যান কার্যালয়ে দুই হাত খুঁটিতে বেঁধে রাখেন। এ সময় চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সি ফরম ও স্ট্যাম্পের মধ্যে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারদর করতে থাকেন। মহসিন স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করায় চেয়ারম্যানের সাঙ্গপাঙ্গরা দ্বিতীয় দফায় হাত-পা বেঁধে নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতনের একপর্যায়ে চেয়ারম্যান মহসিনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় গাঁজা দিয়ে থানায় দিয়ে দেবেন বলে তাকে হুমকি দেন।

মামলার বাদী হাজেরা বেগম বলেন, ‘একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোল্লা রফিকুল ইসলাম ফারুক আমার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নেন। পরে তিনি আমার ছেলেকে তার অফিসে নিয়ে হাত-পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করেন। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম ফারুক আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।’

এ বিষয়ে একদুয়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘মহসিন গাঁজার ব্যবসা করেন এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে সমজোতা করে দেওয়ার জন্য দুএকটা চর-থাপ্পড় দেওয়া হয়।’