পেকুয়ায় একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে আহত।

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৩

 

পেকুয়া প্রতিনিধি।

কক্সবাজারের পেকুয়ায় একই পরিবারের তিন জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠে স্থানীয় প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
২৬ আগস্ট (শনিবার) রাত ১১ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বোধামাঝির ঘোনা সাবেক মেম্বার সরওয়ারের বাড়ির রাস্তার মাথায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় আহতরা হলেন, মৃত নুরুল আমিনের স্ত্রী দিলদার বেগম(৬৫), তাঁর পুত্র মিজানুর রহমান(২৫), মেয়ে হুমায়রা জন্নাত সুমি(১৬) গুরুতর আহত হয়।
এ সময় হামলাকারীরা হলেন, একই এলাকার জুবাইদুল্লা হকের পুত্র কামাল উদ্দিন(৩৫), মৃত মগবুল আহমদের পুত্র জুবাইদুল্লা হক(৫০) সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন লোক মিলে এ সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মিজান প্রবাস ছিল। প্রবাস থেকে চলে আসলে, একই এলাকার জুবাইদুল্লা হকের পুত্র ওমানে মিজানের তাঁর দোকান ঘর নিয়ে নেন। মিজানকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়ে। মিজান ঐ টাকার জন্য দেশে এসে স্থানীয় লোকজনকে বিচার দেন, তাঁরা বিচার না মেনে তাদের উপর নির্মমভাবে হামলা চালায়, তখন আমরা এগিয়ে আসলে তাঁরা পালিয়ে যায়। উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসি।
আহত মিজান বলেন, আমি প্রায় আট বছর ওমান প্রবাসে ছিলাম , আমি দোকান নিয়েছি প্রায় ৭/৮ মাস হয়েছে। আমি অন্য জনের মাধ্যমে প্রাবাসে যান পরে জুবাইদুল হকের ছেলে রাসেলের দোকানে আমি এক মাস কাজ করি। এক মাস পর এদের মাধ্যমে আমি দোকান নিয়েছি। দোকান নেওয়ার এক মাসের মধ্যে আমাকে ভিসা করে দেবে বলেন, তাঁরা সাত মাস পার হয়ে গেলেও আমাকে ভিসা করে দেয় নাই, তাঁরা আমার কাছ থেকে দোকান নিয়ে নেওয়ার জন্য রাসেল, আনিছ, সোহেল, রুবেল, নুরুল আলম মিলে আমাকে পুলিশের হাতে আটক করে দেন কারণ আমার কাছে ভিসা ছিল না। দোকান ও মালামালসহ প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। আমি আসার পর তাঁর বাবার সাথে দেখা করি। রাসেলের বাবা ১৭ তারিখ একটি টাইম দেন টাকা দিয়ে দিবে বলছে, কিন্তু টাকা দেয় নাই পরে ২১ তারিখ টাইম দেন। তখনও দেয় নাই। পরে সাবেক মেম্বার সরওয়ার আলম, মোক্তার সাহেব, মোহাম্মদ লিয়াকত আলী সহ আরো এলাকার লোকজন মিলে গত রাতে তাঁরা বিচার বসে। পরে তাঁরা এই বিচার মানিনা বলে চলে যায়। রাত ১১ টায় আমার বাড়ির কাছাকাছি গেলে তাঁরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আমার উপর হামলা করে, তখন আমার মা বোন এগিয়ে আসলে তাঁদের উপর হামলা করেন তাঁরা স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তাঁরা পালিয়ে যায়। থানা পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত কর্মকর্তা সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য বলেন, এখনো অভিযোগ পাইনি , অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।