সীমান্তবাংলা ডেক্স : আলোচিত পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেডের (পিএলএফএসএল) ১২২ ঋণখেলাপিকে খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে উচ্চ আদালত।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ গত ৯ মার্চ এ আদেশ দিলেও আদেশের লিখিত পাওয়া গেছে সোমবার।
গত ২১ জানুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে পাঁচ লাখ টাকা বা তার বেশি অর্থ ঋণখেলাপি এমন ২৮০ ব্যক্তিকে তলব করে হাইকোর্ট। এরপর গত ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি তাদের পর্যায়ক্রমে আদালতে হাজির হয়ে ঋণ পরিশোধের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়। তাদের মধ্যে ১২২ ঋণ খেলাপি আদালতে হাজির হননি।
আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুসহ সিন্ডিকেট ব্যবহার করে কয়েকটি লিজিং কোম্পানি থেকে অন্তত ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা লুটপাট করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি.কে) হালদার। ওই অর্থের বড় একটি অংশ কানাডা, ভারত ও সিঙ্গাপুরে পাচার করা হয়েছে বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিপলস লিজিংকে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে মেয়াদি আমানত ও বিভিন্ন ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা ধার করে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির আমানত ছিল দুই হাজার ৩৬ কোটি টাকা। আর ঋণের পরিমাণ এক হাজার ১৩১ কোটি টাকা, এর মধ্যে খেলাপিই ৭৪৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ খেলাপি ঋণের হার ৬৬ শতাংশ। ২০১৫ সাল থেকে ধারাবাহিক লোকসানের মধ্যে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। খেলাপি প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় করতে না পারায় আমানতকারীদের টাকাও ফেরত দিতে পারছে না তারা।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই পিপলস লিজিং অবসায়নের জন্য আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই দিনই মামলার শুনানি শেষে প্রতিষ্ঠানটি অবসায়নে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয় আদালত। এছাড়া, অবসায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক পদমর্যাদার একজনকে অবসায়ক নিয়োগ দিতে বলা হয়।
পরে সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিকুইডেটর) হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান খানকে নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর আদালত পিপলস লিজিংয়ের ঋণ গ্রহীতাদের একটা তালিকা চায় সাময়িক অবাসায়ক (প্রবেশনাল লিকুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের কাছে।
১৫মার্চ/জেবি/এডমিন/ইবনে