দুর্নীতির মামলায় পুলিশের এসআই কারাগারে

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২১

চট্টগ্রাম ব্যুরো, সীমান্তবাংলা :

এক কোটি ৩৪ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের দুদকের, দায়ের করা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বরখাস্ত উপপরিদর্শক মো. নওয়াব আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান এ আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক জানিয়েছেন, দুর্নীতির মামলায় পুলিশের এক এসআই আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী ও দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক এই শুনানি করেন। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৯ মার্চ একই মামলায় নওয়াব আলীর স্ত্রী গোলজার বেগমকে কারাগারে পাঠায় আদালত। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর মহিলাদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দুদকের অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এসআই নওয়াব আলী এবং তার স্ত্রীসহ চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। কিন্তু আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও নওয়াব আলী বুধবার আত্মসমর্পণ করেন। সূত্রে জানা যায়, ১৯৯২ সালে কনস্টেবল পদে যোগ দেন নওয়াব আলী।

তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকার মালিক সাজিয়েছেন স্ত্রী গোলজার বেগমকে। মাছ চাষ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা আয় করেছেন বলে কাগজপত্রে দেখালেও বাস্তবে মাছ চাষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তারপরও মাছ চাষ করা হয় বলে কর কর্মকর্তারা প্রতিবেদন দিয়েছেন। এসআই নওয়াব আলী, তার স্ত্রী গোলজার বেগম, কর অঞ্চল-১ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার “বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত; বাহার উদ্দিন চৌধুরী ও কর পরিদর্শক দীপংকর ঘোষকে আসামি করে আদালতে দুদক অভিযোগপত্র দিয়েছে। দুদক তদন্তে পেয়েছে, নওয়াব আলীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের কেকানিয়া এলাকায়।

সেখানে ২০১৩ সালে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ জমির ওপর একটি দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন নিজের নামে। স্ত্রী গোলজারের নামে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ছলিমপুরে ৩৫৪ শতক জমি, চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার এলাকায় পার্কিংসহ ১ হাজার ১০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, একই এলাকায় ৪ শতক জমি রয়েছে। গোলজারের নামে একটি মাইক্রোবাসও রয়েছে। দুদকে জমা দেওয়া হিসাববিবরণীতে গোলজার দাবি করেছেন, তিনি মিরসরাইয়ের পশ্চিম ইছাখালীর মদ্দারহাটে হারেস আহমদ, আমিনুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, শওকত আকবরসহ সাতজনের সঙ্গে চুক্তি করে একটি জলমহাল ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করেছেন। কিন্তু তদন্তে উঠে আসে, হারেস আহমদসহ যেসব ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি দেখানো হয়েছে, তারা ২০ বছর আগে মারা গেছেন।

 

(সীমান্তবাংলা/১০নভেম্বর/জেবি/ইযা)

 

সংবাদটি শেয়ার করুন