সীমান্তবাংলা নিউজ ডেস্কঃ
উখিয়ায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অধিকার আদায়ের আন্দোলন ও সংগ্রাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবার অংশ হিসেবে ও এনজিও দের বিমাতাসুলভ আচরণগুলো পরিস্ফূট না করার এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়ে না উঠার কৌশল হিসেবে স্থানীয় গরীব লোকজনকে দিয়ে কাজ করিয়ে প্রতারণা করে চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে এনজিও কারিতাস এ-র বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিগণ অভিযোগ করেন, উক্ত এনজিও সংস্থা পালংখালী ইউনিয়ে ২টি মাটি কাটার প্রকল্প হাতে নেয়। ওই দু’টি প্রকল্পে বরাদ্দ নেয়া হয়েছে ১ কোটি ৯৬ হাজার টাকা। শ্রমিক হিসেবে ১২৬২জনকে জনপ্রতি ৮ হাজার টাকা পারিশ্রমিক দেয়ার নিয়ম থাকলেও তাদের মজুরিও পরিশোধ করা হয়নি বলে তথ্য পাওয়া গেছে। উক্ত কাজের বরাদ্দ টাকার বেশিরভাগ অংশ কারিতাসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা লুটে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ প্রসংগে, ৫ নং পালংখালী ইউনিয়নের সম্মানীত চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, “আমার ইউনিয়ের ২ ও ৪ নং ওয়ার্ডের মাটি কাটার কথা বলে এনজিও সংস্থা কারিতাস ১২৬২ জন শ্রমিক নিয়োগ করেছিল। কিন্তু ঐ সংস্থাটি যে কাজ করেছে, তার এখন চিহ্নও খোঁজে পাওয়া যাবে না। মূলত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কথা না বলতে স্থানীয়দের মূখ বন্ধ করার লক্ষ্যে তারা গ্রামের উন্নয়ন নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। এ ব্যাপারে আমি তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
এদিকে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের রাস্তা উন্নয়ন কাজে এনজিও সংস্থা কারিতাস শতশত লোকজন দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কথা বলে লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কাজের অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে। অনেক ক্ষেত্রে, চৌকিদার বা দফাদারকেও শ্রমিকের খাতায় নাম লিখিয়ে অথবা নাম মাত্র শ্রমিক সৃজন করে ফাইল পত্রে দেখিয়ে উক্ত অর্থ লোপাট করারও অভিযোগ রয়েছে। এখানে সত্যিকার অর্থে কাজে নেয়ার কথা ছিল স্থানীয় কর্মক্ষম বেকার গরীব জনগোষ্টিকে। এ বাপারে ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম জানান, কারিতাস এনজিও তার এলাকায় কাজ করলেও গ্রামের লোকজন খুশি নয়। ইউপি সদস্য ইকবাল বাহার জানান, তার ওয়ার্ডের শত শত শ্রমিক দিয়ে এনজিও সংস্থা কারিতাস জনপ্রতি ৪শত টাকা মজুরি দিয়ে ডিসেম্বর মাসে কাজ করেছে। কিন্তু শ্রমিকদের যথাযথ মজুরী ঠিকমত পরিশোধ এখনও করা হয়নি। ৯নং ওয়ার্ডের সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন জানান, রোহিংগা ক্যাম্প উনার ওয়ার্ডের নিকটবর্তী হলেও রোহিঙ্গা ক্যাম্প কারিতাস এনজিও মাত্র ৩৫জন শ্রমিক দিয়ে লোক দেখানো কাজ করে নিজেরা লাভবান হয়েছে। গ্রামের কোন ধরণের উন্নয়ন হয়নি। এ ব্যাপারে কারিতাসের কর্মকর্তা শরীফের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি কোন ধরণের তথ্য দিতে রাজি হননি।
সুত্রঃ দৈনিক জনকন্ঠ।
( সীমান্তবাংলা/ ৪ জানুয়ারী ২০২১)