ইবনে যায়েদ,উখিয়া :
মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাস আসার আগেই হু হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। প্রশাসনের নিত্যপণ্য মুল্য বৃদ্ধিতে কোন প্রকার আইন প্রয়োগ নেই বললেই চলে। যে কারণে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার গুলাের দুর্ভোগ ক্রমশ বাড়ছে। রান্নার গ্যাসের সাথে চাল, ডাল, ভােজ্যতেল ও চিনির মূল্য বৃদ্ধিতে অনেক পরিবারেই চলছে যথেষ্ট টানাপোড়েন। এসব পরিবার গুলাে সংসারের ঘানি টানতে রীতিমত হিমসিম অবস্থা। মুসলিম সাধারণের আক্ষেপ রমজান শুরু আগে এই মূল্য বৃদ্ধির শেষ কোথায় গিয়ে দাড়াবে তা নিয়ে চিন্তিত।
উখিয়ার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এ মাসে হাট বাজার গুলোতে পাইকারি ও খুচরা চালের দাম বেড়েছে প্রকারভেদে তীরমার্কা ৬১টাকা থেকে ৬৪টাকা। নিম্ন-মধ্য মানের বিআর-২৮ নং চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকা কেজি দরে। আর মধ্যম মানের মিনিকেট চাল কেজি প্রতি ৬৫টাকায় উঠেছে। ভাল মানের সয়াবিন তেলের লিটার ১২৫টাকা। চিনির কেজি খুচরা পর্যায়ে ৬৮-৭০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুগ ডালের কেজি প্রতি ১১০টাকা।
এদিকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের কেজি দেশি ৩৮-৪০টাকা হলেও পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৩৮-৪২টাকা, রসুন ১১০টাকা। ডিম প্রতিটি ৬-সাড়ে ৬টাকা। অপরদিকে গত দুমাসে এলপি গ্যাসের দাম সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার এখন ১০৫০-১১শত টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য সংস্থা-টিসিবি আমদানিকৃত পেঁয়াজের বােঝা নিয়ে বিপাকে থাকলেও তাদের ভান্ডারে চিনি, ডাল ও সয়াবিন তেল শূন্য হয়ে পড়ায় এসব পণ্য বিক্রি প্রায় বন্ধ রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে টিসিবি বিষয়ে কেউ জানেও না।
স্থানীয় পাইকারি বিক্রেতা জিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী জিয়া সওদাগর জানান, শহরে রমজানের আগে পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, চিনি আর ছােলাবুট বিক্রি করে থাকে। কিন্ত গ্রামে এসব নিত্যপণ্যে টিসিবির মাধ্যমে সরবরাহ করতে তেমন একটা চোখে পড়েনা।
ভোক্তা সাধারণের জনৈক জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির রেশ ধরে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম চলছে প্রতি কেজি ২৬০টাকা। গরুর মাংসের দামও কেজি প্রতি প্রকারভেদে ৬০০-৭০০টাকা এবং মহিষের মাংস ৭০০-৮০০টাকা।
২১মার্চ/এডমিন/ইবনে
সংবাদটি শেয়ার করুন