উখিয়ার হাট বাজারে অস্থির পরিবেশ, ক্রেতা সাধারণের নাভিশ্বাস: প্রশাসসের হস্তক্ষেপ দাবী
নিজস্ব প্রতিনিধি ;
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কোনো অজুহাত ছাড়াই উখিয়ার হাটবাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। জ্বালানী বৃদ্ধির পরপরই তরিতরকারি থেকে শুরু করে ভোজ্যতেল, আটা, ময়দা, চিনি সহ চালের বাজারে ক্রয়মুল্য উর্ধগতির ঘটনায় স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন যাপন ক্রমেই দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। স্বল্প আয়ের মানুষের হায়হুতাশ চোখে পড়ার মত। পাইকারি ব্যাবসায়িরা বলছেন, পরিবহন সহ হাসিলের খরচ বেড়ে যাওয়ায় নিত্যপণ্যের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
এছাড়াও শাক সবজি বাজারেও দ্বিগুণ দাম রয়েছে। এব্যাপারে ভোক্তা সাধারণ স্থানীয় প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উখিয়া সদর দারোগা বাজার ঘুরে দেখা যায়, শাক সবজির হাট বাজারে আসলেও ক্রেতা সাধারনের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। তিতা শাক কেজিতে দাম নিচ্ছে ৮০টাকা, বেগুণ ৬০টাকা, দেশি আলু ৪০টাকা। শষা কেজি ৮০টাকা, লেবু বড় আকারের ১টির ২০টাকা।
অভিযোগ, কোনো অজুহাত ছাড়াই বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম আদায় করছে। এমন কোনো কাঁচা তরকারি নেই দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ব্যবসায়ী অারমান হোসাইন জানায়, সরকার জ্বালানী তেলের মুল্য বৃদ্ধির পাশাপশি বাজার ইজারা অধিক মুল্যে বিক্রয় করার পর থেকে তরি তরকারিসহ সব জিনিষের দাম বেড়েছে। স্থানীয় ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ, বাজার নিয়ন্ত্রণ ও ভোক্তা অধিকারে প্রশাসনের জবাবদিহীতা স্বচল না থাকায় ব্যবাসায়িরা তাদের মনগড়া দাম হাঁকছে, যা সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাসের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
এছাড়া এক লিটার বোতলজাত তেলের দাম ১৬০টাকা থেকে বেড়ে ১৬৫টাকা।
মাছ মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গরুর মাংস হাড়সহ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা। মাংস বিক্রেতা সৈয়দ জানায়, প্রশাসনের বেধে দেওয়া মুল্য তালিকার চেয়ে কেজি প্রতি ১০০টাকা বাড়িয়ে নিতে হচ্ছে। কারণ প্রচুর গরু সংকট।
শিক্ষক মাস্টার এম আবুল কালাম জানান, প্রশাসন হাট বাজার তদারকি না করায় উখিয়ার নিত্য পণ্যের বাজার অস্বস্থিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজিব বলেন, কোন অবস্থাতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামালের দাম অতিরিক্ত আদায় করা যাবেনা। মুল্য তালিকার বাইরে কোন ব্যবসায়ি অতিরিক্ত দাম আদায় করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সীমান্তবাংলা / ৩ এপ্রিল ২০২২