উখিয়ায় ই-কৃষি সেবায় ডিজিটাল ভিলেজ সেন্টার উদ্বোধন করলেন জুনাইদ আহমেদ পলক

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২২

 

এম ফেরদৌস ( উখিয়া কক্সবাজার)
উখিয়া রত্নাপালং ইউনিয়নের তুলাতুলী গ্রামে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ( food and agriculture organization of the United Nations) এর সহযোগিতায় ব্যাংক এশিয়ার অর্থায়নে কৃষি উৎপাদন পন্যের ই-কৃষি সেবা (ডিজিটাল ভিলেজ সেন্টার) শুভ উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

শুক্রুবার ( ১৫ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া তুলাতুলী ষ্টেশনের পাশে এ ভিলেজ সেন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

প্রধান অথিতির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকার প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল ভিলেজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। কৃষিতে আধুনিকায়ন করেছে সরকার। যার সুফল পাচ্ছে কৃষকরা। চলনবিলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, খাল খননের ফলে কৃষকরা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি সরকারের সময় সারের জন্য কৃষকদের জীবন দিতে হয়েছে। সরকার এখন অনেক সাশ্রয়মূল্যে কৃষকদের সার দিচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান, কারিগরি ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের যে ভিত্তি তৈরি করে গেছেন সে পথ ধরেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এক যুগের বেশি পথচলায় প্রমাণিত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার এক উন্নয়ন দর্শন।

বর্তমানে সারা দেশে ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে নানান ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা জনগণ গ্রহণ করতে পারছেন। ডিজিটাল সেন্টার সাধারণ মানুষের জীবনমান সহজ করার পাশাপাশি দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে দিয়েছে। মানুষ এখন বিশ্বাস করে, ঘরের কাছেই সব ধরনের সেবা পাওয়া সম্ভব।

মানুষের এই বিশ্বাস অর্জন ডিজিটাল বাংলাদেশের পথচলায় সবচেয়ে বড় পাওয়া। ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সুফল দেশের প্রত্যেক মানুষ পাচ্ছে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্হ্য, অর্থনীতি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্হানসহ এমন কোনো খাত নেই যেখানে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে না। এটা সম্ভব হচ্ছে মূলত সারা দেশে একটি শক্তিশালী আইসিটি অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারণে, যা গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত।

কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসিম আহমদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ফুড এন্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন এর কান্ট্রি ডিরেক্টর এসনোভ বাকনোদুর, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আশীষ রঞ্জন নাথ, এটুআই আইসিটি ডিভিশনের কর্মকর্তা আনির চৌধু্রী, রেজওয়ানুল হক জামি, ব্যাংক এশিয়ার সিনিয়র অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব, উপজেলা কৃষি অফিসার প্রসেনজিৎ তালুকদার, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ার নুরুল হুদা, সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরীসহ, সরকারি-বেসকারি পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারসহ নানা কার্যক্রম পরিদর্শন জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন।

পরে দুপুর ১ টার দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে উখিয়া ত্যাগ করেন তিনি।