উখিয়ার তেলখোলাতে ৫০০ গৃহ ও বিদ্যুৎহীন পরিবারের সাথে বন্য প্রাণীর খাদ্যের দ্বন্দ্ব

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২১
সীমান্তবাংলা ডেক্স : ৫শ বিদ্যুৎহীন পরিবারে  বিদ্যুতায়নের আহবান  উখিয়ার তেলখোলায় বঞ্চিত জনগোষ্টির জন্য কাজ করছে মৎস্যজীবি লীগ
আজ ২৪ জানুয়ারী ২১ রবিবার পালংখালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে তেলখোলা প্রাথমিক  বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ইউনানী হার্বাল সোসাইটির সামাজিক বনায়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কক্সবাজার বন বিভাগ এক গণসচেতনতা মূলক সভা করেন যার হেড লাইন ছিল- “হাতি মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসন, বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ”।
এতে প্রধান অতিথি জেলা বন বিভাগ প্রধান সাথে স্থানীয়দের মধ্যে  বিভিন্ন সমস্যা নিরসন করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত  করতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেন মুক্তি যোদ্ধার সন্তান, উপজেলা মৎস্যজীবি লীগ নেতা এবং “হঠাও হাইব্রীড বাঁচাও আওয়ামীলীগ” শীর্ষক আন্দোলনের নেতা শফিক সিরাজ।
বঙ্গবন্ধু ইউনানী হার্বাল সোসাইটির কক্সবাজার জেলা চেয়ারম্যান নূর কামালের সামাজিক  বনায়নের এই মহতি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে শফিক সিরাজ বলেন সরকার সামাজিক বনায়নের উদ্যোগতা থাইংখালীর আব্দু রশিদ ও শেখ আলম গংদের পালিত বন সাবাড় করে রোহীঙ্গা ক্যাম্প স্থাপন করল কিন্তু এখনো ক্ষতিপূরণের কোন ব্যবস্থা করা হল না।  এর জবাবে বন প্রধান বল্লেন একটি আবেদনে ওনার সুপারিশ এবং ইউএনও মহোদয়ের সুপারিশ নিয়ে ইউএনএইচসিআর বরাবর প্রেরণ করতে।
শফিক সিরাজ বলেন বনে যদি হাতির খাদ্য থাকে তাহলে হাতি লোকালয়ে হানা দেবে না এবং মানুষের যদি কর্ম সংস্থান থাকে তাহলে বনের গাছ কাটবে না, যনি গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হয় তাহলে মানুষ লাকড়ি কাটবে না এমনি করে রক্ষা হবে বন ও পরিবেশ।
শফিক সিরাজ আরো বলেন আওয়ামীলীগ সরকারের কৃপায় আমরা অত্র ইউনিয়নের বুক চিরে মেরিন ড্রাইভ সড়কের সাথে সংযুক্ত  হতে যাচ্ছি সাথে সাথে যদি আমরা এই তেলখোলা-মোছার খোলার প্রতিটি ঘরে ঘরে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে পারি তাহলে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক হতে পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের কিনারা পর্যন্ত বন বিভাগের বন ভূমি, খাল, ছরা, পুকুর, চাষের জমি, হাওড় সমূহের সঠিক ব্যবহার করতে স্থানীয় জনগোষ্টিকে উদ্যোগী করে গড়ে তোলবে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগ।

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক’কে বিজয়ী করার লক্ষে মৎস্যজীবি লীগ নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে গণ সংযোগ পরবর্তী তেল খোলা বাজারস্থ অফিসে সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে শফিক সিরাজ বলেন- প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ হবে,
গৃহ হীন কোন মানুষ থাকবে না কিন্তু আপনাদের সেই খবর কেউই দেয়নি,পরিত্যক্ত এই বন ভূমিতে আপনারা সামাজিক বনায়ন, মাছ, হাস-মুরগি , গরু পালন করে স্বাবলম্বী হতে পারেন, সরকার উদ্যোক্তা খুঁজছে প্রশিক্ষিত করে সরঞ্জাম দিয়ে বিনা সুধে লোন দেবে শেখ হাসিনার সরকার কিন্তু প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা আপনাদেরকে বঞ্চিত  করেই চলেছে তায় আপনাদের অধিকার সচেতন হতে হবে।
এই ৬ নং ওয়ার্ড়ে একটি উচ্ছ বিদ্যালয় এবং হাসপাতাল প্রয়োজন। যারা ভোট ভিক্ষা চাইতে আসে তাদেরকে বলুন আপনাদের চক্ষু খোলে দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগ।
২৪জানুয়ারি/জেবি/এডমিন/ইবনে

সংবাদটি শেয়ার করুন