ইউএনও ও ইমা‌মের ম‌ধ্যে সুরাহা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৩

ইউএনও ও ইমামের বিষয়টি সমাধান হয়েছে। ডিসি মহোদয় আজ মাগরিব থেকে ইমামকে নামাজ পড়াতে বলেছেন। পরবর্তীতে কেউ হুমকি-ধমকি দিলে জেলা প্রশাসককে অবহিত করতে বলেছেন।”

শুক্রবার ভাটরা কাছারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে যান ইউএনও। তিনি গিয়ে ইমামের পেছনে (মুয়াজ্জিনের স্থানে) দাঁড়ান। তখন ইমাম ও মুয়াজ্জিন তাকে একটু সরতে বলেন।

নামাজের পর ইউএনও ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে মসজিদের দক্ষিণ পাশের সরকারি পুকুরের পাড়ে ডেকে নেন। সেখানে দীর্ঘসময় ধরে তাদের নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এক পর্যায়ে ইউএনও পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মসজিদ কমিটির একজনকে ডেকে আনেন এবং ইমামকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর ইমাম মাওলানা আবুল বাশার আর মসজিদে যাননি।

বিষয়টি নিয়ে রোববার বিকাল সাড়ে ৩টায় জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান সব পক্ষকে ডাকেন। তিনি সবার বক্তব্য শোনেন। পরে বিষয়টি তিনি সমঝোতা করে দেন।

এ সময় সেখানে উপস্থিত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া, ইউএনও মো. ফোরকান এলাহি অনুপম, জেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল্লাহ, ইউপি সদস্য গোলাপ হোসেন, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ক্বারি আবদুর রশিদ, সেক্রেটারি জহিরুল ইসলাম।

ইমাম মাওলানা আবুল বাশার বলেন, “নামাজ শুরুর আগে ইমামের পিছনে মোয়াজ্জিন থাকেন। তখন পিছনে অন্য একজনকে দেখে একটু সরতে বলি। পরে জানতে পারলাম উনি ইউএনও। তখন আমি ওনার কাছে সরি বলি। পরে উনি আমাকে পুকুরে চোবাবেন বলছেন। পরে আমাকে চাকরিচ্যুতির কথা জানানো হয়।

বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আমাদের নিয়ে বসা হয়। ইউএনও বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পরে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে আমি মসজিদে ইমামতিতে যোগদান করি। আমি ডিসি স্যারের তাৎক্ষণিক এমন ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট”, যোগ করেন ইমাম।

সীমান্তবাংলা/মউ/১২টা/১৫অ‌ক্টো২৩