সংবিধান অনুযায়ী এই সরকার অধীনে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ।

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৩

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,  ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি)’র চেয়ারম্যান,,ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)’র সিনিয়ার প্রেসিডিয়াম সদস্য,, ও গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ এর স্টেয়ারিং কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই মন্ডল,, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)’র মহাসচিব,, ও গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ এর স্টেয়ারিং কমিটির সদস্য।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, এনপিপি ও গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ এর এর কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

সংবিধান সমুন্নত রক্ষার স্বার্থে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কোন বিকল্প নাই শীর্ষক আলোচনা সভায় ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি)’র চেয়ারম্যান ও এর নেতৃত্বাধীন জোট “গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ” এর সমন্বয়ক জাতীয় নেতা আলহাজ্ব শেখ ছালাউদ্দিন ছালু সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, যুুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য একটি ভিসা নীতি ঘোষনা করেছে। এই ভিসা নীতির প্ররিপ্রেক্ষিতে অনেকে উল্লাসিত হয়েছে এবং অনেকে মর্মাহত হয়েছে। কিন্তু আমি ব্যাক্তিগত ভাবে লজ্জাবোধ করছি,, কারন বাংলার মেহনতি মানুষের জন্য এই ভিসা নীতি কোন কার্যকর প্রভাব ফেলবে না। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এবং অসৎ রাজনীতিবিদরাই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির জন্য আতঙ্কিত। অনেক দেশে যুক্তরাষ্ট্র তাদের এই ভিসা নীতি প্রয়োগ করেছে। কিন্তু তেমন কোন ভালো ফলাফল পাওয়া যায়নি। যেমন আফ্রিকার উগান্ডা এবং নাইজেরিয়া।

শেখ ছালাউদ্দিন ছালু বলেন, এখন ভোটকেন্দ্রে ১৫ থেকে ২০% লোক যাচ্ছে ভোট দিতে। ৮০% লোক ভোট দিতে যাচ্ছে না। আমি এই ভোটারদের অনুরোধ করবো ভোট আপনাদের আমানত। আপনারা যদি ভোটকেন্দ্রে না যান তাহলে আমানতের খেয়ানত করলেন। আপনারা ১৮২৫ দিনের মধ্যে মাত্র ১দিনে আপনাদের ক্ষমতা আছে। এই ১দিনে আপনাদের ক্ষমাতার মাধ্যমে ১৮২৪ দিন যে ক্ষমতায় আছে তাকে পরিবর্তন করতে পারেন এবং দুর্নীতিবাজদের প্রতিহত করতে পারেন। তাই আসুন আমরা সকলেই ভোট কেন্দ্রে যেয়ে ভোট প্রদান করে সৎ মানুষের শাসন প্রতিষ্ঠা করি।

তিনি আরো বলেন, রাজনীতিবিদরা এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরিবার কেন্দ্রিক হয়েছে। যার উদাহরন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, ওয়ার্কাস পার্টির চেয়ারম্যান রাশেদ খান মেনন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের হাসানুল হক ইনু তাদের স্ব স্ব- স্ত্রীকে এমপি বানিয়েছেন।  এইসব দলের মধ্যে অন্য কোন নেতা-কর্মী কি নাই? জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন বিধায় সরকারী কর্মকর্তারা এদের মূল্যায়ন করছে না। আমি পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই আমরা যদি ক্ষমতায় যাই তাহলে আমার স্ত্রীকে আমি এমপি বানাবো না। দলের ত্যাগী নেত্রীকেই এমপি বানাবো।

বাজেট পতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, কিছুদিন আগে সরকার বাজেট প্রদান করেছে এবং গতানুগতিক অনুযায়ী বিরোধী দল সমালোচনা এবং সরকারী দল প্রশংসা করেছে। আমি বলতে চাই এটা একটি উচ্চ বিলাসী বাজেট এবং বাস্তবায়ন করা কঠিন। কারন এটা ঋন নির্ভর বাজেট। তারপরও যদি বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরো বলেন, সারাদেশে এখন বিদ্যুৎ সংকটের কারনে লোডশেডিং চলছে। আমরা যতটুকু জানি সরকারের তথ্য অনুযায়ী উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু দেশের প্রয়োজন ১৪ হাজর মেগাওয়াট। কোন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল বাকী নাই। তারপরও কয়লা আমদানী করতে পারছে না সরকার। এর একমাত্র কারন সীমাহীন দুর্নীতি। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রয়োজন হবে না এবং কয়লা আমদানী করতে কোন অর্থের অভাব হবে না।

বাংলাদেশে অসৎ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারনে প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশচুম্বি এবং জনগনের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাইরে।  শুধুমাত্র ১দিনের পেয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারনে পকেট থেকে ১৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, এই অসৎ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্যের দাম জনগনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার।

পরিশেষে শেখ ছালাউদ্দিন ছালু বলেন, অস্থির ও সংঘাতময় রাজনীতি থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। নিরপেক্ষ ও অংশ গ্রহণ মূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার দিকে দেশবাসী তাকিয়ে আছে। আমাদেরও প্রত্যাশা নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অর্পিত দায়িত্ব পালনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। এক্ষেত্রে গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে।